ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন জাহাঙ্গীর হোসেন Logo রূপপুর-বগুড়া গ্রিড লাইনে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন Logo দৌলতপুরে ইটভাটায় দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু, ৩ লাখ টাকায় আপসরফা Logo পাওয়ার ট্রলির ধাক্কায় এনজিও কর্মী নিহত Logo প্রবাসী প্রেমিকার ২ লাখ টাকার  চুক্তিতে মেসকাত খুন   Logo যশোরের হৈবতপুরে নেতাকর্মীদের সাথে আনোয়ার হোসেন বিপুলের মতবিনিময় Logo যশোরে কবিতার রূপ ও রস শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন Logo নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি নেতাকে বহিস্কার Logo যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির মুক্তির দাবীতে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ডলারের দাম আরও কমল

৯০ কোটি ডলার বিদেশী বিনিয়োগ বাংলাদেশে এসেছে।

চলমান সংকটের মধ্যে ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। ক্রয়-বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রেই দর কমানো হয়েছে। ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম পড়বে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা আর আমদানিতে পড়বে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। আগামী রোববার থেকে এটি কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন দুটি।

 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা; আগে যা ছিল ১১০ টাকা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও সমপরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকার কিছু বেশি পাবেন উপকারভোগীরা।

 

এক বছরের বেশি সময় ধরে দাম বাড়ানোর পর গত ২২ নভেম্বর প্রথম ডলারের দর ৫০ পয়সা কমানো হয়। যদিও বাজারে এ দরে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে না। গতকালও অনেক ব্যাংক ১২১ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনেছে।

 

খাত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সামনে নির্বাচন, এ জন্য বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা না করে কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসে দুই দফায় ৭৫ পয়সা দাম কমানো হয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকগুলো থেকে ডলারও কেনা হচ্ছে। অথচ ব্যাংকগুলো আমদানি দায় শোধ করতে পারছে না। তাই বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

 

বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, আমরা চলতি হিসাবে ঘাটতি কাটিয়ে উঠেছি। দেড় বছর আগে ঘাটতি ছিল প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। এখন প্রায় ৯ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত রয়েছে। সেই হিসাবে বাজারে ডলারের সংকট থাকার কথা নয়। এখন বাজারে ডলারের দর বাড়ার যে প্রবণতা, সেটি থাকার কোনো কারণ নেই।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন জাহাঙ্গীর হোসেন

error: Content is protected !!

ডলারের দাম আরও কমল

আপডেট টাইম : ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

চলমান সংকটের মধ্যে ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। ক্রয়-বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রেই দর কমানো হয়েছে। ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম পড়বে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা আর আমদানিতে পড়বে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। আগামী রোববার থেকে এটি কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন দুটি।

 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা; আগে যা ছিল ১১০ টাকা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও সমপরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকার কিছু বেশি পাবেন উপকারভোগীরা।

 

এক বছরের বেশি সময় ধরে দাম বাড়ানোর পর গত ২২ নভেম্বর প্রথম ডলারের দর ৫০ পয়সা কমানো হয়। যদিও বাজারে এ দরে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে না। গতকালও অনেক ব্যাংক ১২১ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনেছে।

 

খাত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সামনে নির্বাচন, এ জন্য বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা না করে কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসে দুই দফায় ৭৫ পয়সা দাম কমানো হয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকগুলো থেকে ডলারও কেনা হচ্ছে। অথচ ব্যাংকগুলো আমদানি দায় শোধ করতে পারছে না। তাই বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

 

বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, আমরা চলতি হিসাবে ঘাটতি কাটিয়ে উঠেছি। দেড় বছর আগে ঘাটতি ছিল প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। এখন প্রায় ৯ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত রয়েছে। সেই হিসাবে বাজারে ডলারের সংকট থাকার কথা নয়। এখন বাজারে ডলারের দর বাড়ার যে প্রবণতা, সেটি থাকার কোনো কারণ নেই।