বহু জলপনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও দেশের শীর্ষ পোষাক উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে আজাদ ।
তিনি গত কয়েক বছর যাবৎ ফরিদপুর সদর আসনের রাজনীতি বেশি সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, ছিলেন গত কমিটির সহ-সভাপতি।
নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষনার পর ফরিদপুর সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ১১জন দলীয় ফরম কিনেছিলেন । এর মধ্যে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে দেওয়া হয় নৌকার মনেনয়ন।
তবে দলীয় প্রার্থী ঘোষনার পর পরই ফরিপুরের এই গুরুত্বপূর্ন আসনটিতে নির্বাচনের ঘোষনা দেন এ.কে আজাদ। পরদিনই তিনি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন কি করবেন না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে বুধবার বিকেলে দলীয় প্রধানের নির্দেশ মোতাবেক (নির্বাচন উন্মুক্ত থাকবে, যে কেউ অংশ নিতে পারবেন) তিনি এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি এ.কে আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীদের জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের চাওয়া আমি যেন নির্বাচন করি। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার জন্য আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ.কে আজাদ এলাকার উন্নায়ন প্রসঙ্গে বলেন, স্বাধীনতার পর ফরিদপুর একটি অবহেলিত অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জেলাকে উন্নায়নের ছোয়া থেকে দূরে রেখে ছিলো। এ অঞ্চলের শিক্ষা ও
শিল্প নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখি। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে ভূমিকা রাখবো।
হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার আরো বলেন, মুলত: আমি ফরিদপুরকে একটি শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি। কারন ৬০ এর দশকে এজেলায় পাট শিল্প গড়ে উঠেছিল, যা এখন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু করে দেওয়ার পর এ অঞ্চলে শিল্পকলকারখানা গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আমি যদি সকলের দোয়া আর ভালবাসয় বিজয়ী হতে পার তাহলে, ভোলার গ্যাস ফরিদপুরে নিয়ে এসে একটি শিল্প এলাকা গড়ে তোলা, যাতে বৃহত্তর ফরিদপুরের মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।
তিনি আরো বলেন, ফরিদপুরে শিক্ষার মান ভালো না হওয়ার কারণে তরুণদের চাকরি পেতে সমস্যা হয়। তাই শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য তিনি কাজ করবেন। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে এই ব্যাবসায়ী নেতার।
প্রিন্ট