সোমবার সকাল ১১টায় আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলফাডাঙ্গা উপজেলার গণমাধ্যম কর্মী ছাড়াও পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী ও কাশিয়ানী উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন। পরে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা হয়।
জানা যায়, গত ২১ নভেম্বর সাংবাদিক আলমগীর কবীর আলফাডাঙ্গা পৌর সদর বাজারের মায়ের দোয়া গোশত ভাণ্ডারে অসুস্থ গরু জবাই করা হয়েছে বলে খবর পান। পরে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন ল্যাব টেস্টের জন্য ওই ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পুলিশের সহায়তায় মাংস সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই মাংস সংগ্রহের বিষয়টিকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের অদরউদ্দৌলার ছেলে গ্রীল ব্যবসায়ী তন্ময়উদ্দৌলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের মিথ্যা, বানোয়াট কাল্পনিক কাহিনী সাজিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করেন। শুধু তাই নয়; ওই প্রতিবেদনে তন্ময়উদ্দৌলা সাংবাদিক আলমগীর কবীরকে নামসর্বস্ব ও ভূয়া সাংবাদিক পরিচয়ে উপস্থাপন করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর তন্ময়উদ্দৌলার বিরুদ্ধে সাংবাদিক আলমগীর কবীর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
প্রতিবাদ সভায় আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এনায়েত হোসেন, দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার সম্পাদক এ.এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার), আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি খান আসাদুজ্জামান টুনু, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কাশিয়ানী প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন লিঙ্কন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ছড়ানো তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে ভয়ংকর অপরাধের শামিল। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
তন্ময় উদ্দৌলা জানান, সত্য এবং তথ্যভিত্তিক সংবাদ করেছি। এবং এই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জনাব আলমগীর কবির আমাকে পরিনতি ভালো হবেনা মর্মে হুমকি দিয়েছেন, পরিশেষে সংবাদ করার অনুমতিও দিয়েছেন।
ওসি মো. হাবিল হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।
প্রিন্ট