ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করায় করোনায় আক্রান্ত দম্পতিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা  

তথ্য গোপন করায় করোনায় আক্রান্ত দম্পতিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী একাধিকবার করোনার টেস্ট করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা নিবাসী অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে এই জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখায় কর্মরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান (৩৬) ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা (২৬) গত ৫ এপ্রিল বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টেস্ট করান। এর পরদিন জানা যায় তার স্ত্রী মিলা করোনা আক্রান্ত। কিন্তু হাফিজুর রহমানের টেস্টের ফলাফল ইনএকটিভ আসে।
এরপর গত ৮ এপ্রিল মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা তাদের নাম পাল্টে যথাক্রমে রিপন খান ও নিলা বেগম নামে পুনরায় করোনার টেস্ট করান। ওই টেস্টে উভয়েরই করোনা শনাক্ত হয়।
এরপর পরিচয় গোপন করে আবার ওই দম্পতি ২১ এপ্রিল নিজেদের প্রকৃত নামে অর্থাৎ মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা নামে করোনা টেস্ট করান। এবারও তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান গত কয়েক দিনে মো. হাফিজুর রহমান ও রিপন খানের মোবাইলে ৮/১০ বার ফোন দিয়ে করোনায় আক্রান্ত দম্পতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
এক পর্যায়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় যে হাফিজুর রহমান ও রিপন খান একই ব্যক্তি। তথ্য গোপনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ শুক্রবার দুপুর একটার দিকে পৌরসভার আঁধারকোঠায় হাফিজুর রহমানের বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইউএনও রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, তথ্য গোপন করে বারবার করোনা টেস্ট করায় মো. হাফিজুর রহমান নামের ওই ব্যক্তিকে রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করায় করোনায় আক্রান্ত দম্পতিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা  

আপডেট টাইম : ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
এ.এস.এম. মুরসিদঃ :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী একাধিকবার করোনার টেস্ট করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা নিবাসী অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে এই জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখায় কর্মরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান (৩৬) ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা (২৬) গত ৫ এপ্রিল বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টেস্ট করান। এর পরদিন জানা যায় তার স্ত্রী মিলা করোনা আক্রান্ত। কিন্তু হাফিজুর রহমানের টেস্টের ফলাফল ইনএকটিভ আসে।
এরপর গত ৮ এপ্রিল মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা তাদের নাম পাল্টে যথাক্রমে রিপন খান ও নিলা বেগম নামে পুনরায় করোনার টেস্ট করান। ওই টেস্টে উভয়েরই করোনা শনাক্ত হয়।
এরপর পরিচয় গোপন করে আবার ওই দম্পতি ২১ এপ্রিল নিজেদের প্রকৃত নামে অর্থাৎ মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা নামে করোনা টেস্ট করান। এবারও তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান গত কয়েক দিনে মো. হাফিজুর রহমান ও রিপন খানের মোবাইলে ৮/১০ বার ফোন দিয়ে করোনায় আক্রান্ত দম্পতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
এক পর্যায়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় যে হাফিজুর রহমান ও রিপন খান একই ব্যক্তি। তথ্য গোপনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ শুক্রবার দুপুর একটার দিকে পৌরসভার আঁধারকোঠায় হাফিজুর রহমানের বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইউএনও রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, তথ্য গোপন করে বারবার করোনা টেস্ট করায় মো. হাফিজুর রহমান নামের ওই ব্যক্তিকে রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রিন্ট