ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হাতিয়ায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। রাতে ঝরছে কুয়াশা। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পাতলা কাঁথার মানছে না শীত। তাই হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার। শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির বেডিং স্টোরগুলোতে।
এরই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়  লেপ তোষক তৈরির কারিগর (ধুনকর) ও ব্যবসায়ীদের।  হাতিয়ায় প্রায় শতাধিক লেপ-তোষক তৈরির দোকানে এখন রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধুনকররা।
শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে দোকানগুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া  লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।
হিমেল শীতের পরশ থেকে উষ্ণতা পেতে কেউ পুরোনো লেপ-তোষক, বালিশ ঠিকঠাক করছে। আবার কেউ নতুন তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনেকে উঠিয়ে রাখা লেপ-তোষক বের করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন।
 তাই শীতে এ ব্যবসায় একটু বেশি বিক্রির জন্য দিন-রাত সমানতালে পরিশ্রম করছেন তারা। যেন দম ফেলার সময় নেই। কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ-তোষক ও বালিশ। কারিগররা কেউ তুলো ধুনছে, কেউ ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে, কেউ বা লেপে হরেকরকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন।
উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম  ক্ষিরোদিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন  সময়ের প্রত্যাশা কে  বলেন, এখনো শীতের দেখা না মিললেও আগেভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।
আরেক ক্রেতা সেনাজ উদ্দিন সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন ,শীত শুরুর আগেই লেপ-তোষক অর্ডার দিয়েছি। দাম গতবারের চেয়ে বেশি।
ওছখালাী বাজারের ফারিয়া বেডিং স্টোরের মালিক মো: এমরান হোসেন  সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, শীত এখনো জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ-তোষক বানাতে আসছেন। এ বছর ক্রেতার সংখ্যা বেশি। ক্রেতাদের কথা ভেবে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে অর্ডারি কাজের পাশাপাশি রেডিমেট জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছেন এই লেপ-তোষকের দোকান মালিক।
বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৬০০টাকা , কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০টাকা,  কালো হুল ৮০ টাকা , কালো রাবিশ তুলা ৬০ টাকা, সাদা তুলা ১২০  টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতিপিছ লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়েছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকা গজ হিসেবে লেপ-তোষকের কাপড় বিক্রি করছেন দোকানদাররা। প্রতি পিছ ছোট লেপ ১০০-১২০০ টাকা, বড় লেপ ১৬০০-১৮০০ টাকা এবং প্রতি পিছ তোষক ছোট ৯০০-১২০০ টাকা ও বড় তোষক ২২০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম থাকায় চাহিদাও বেশি থাকে।
এ সময় অনেক কারিগর ও ব্যবসায়ী শীত আসার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদ রাখেন।ব্যবসায়ীরা জানান, সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষকের দাম আরো বাড়বে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

হাতিয়ায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

আপডেট টাইম : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। রাতে ঝরছে কুয়াশা। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পাতলা কাঁথার মানছে না শীত। তাই হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার। শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির বেডিং স্টোরগুলোতে।
এরই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়  লেপ তোষক তৈরির কারিগর (ধুনকর) ও ব্যবসায়ীদের।  হাতিয়ায় প্রায় শতাধিক লেপ-তোষক তৈরির দোকানে এখন রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধুনকররা।
শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে দোকানগুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া  লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।
হিমেল শীতের পরশ থেকে উষ্ণতা পেতে কেউ পুরোনো লেপ-তোষক, বালিশ ঠিকঠাক করছে। আবার কেউ নতুন তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনেকে উঠিয়ে রাখা লেপ-তোষক বের করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন।
 তাই শীতে এ ব্যবসায় একটু বেশি বিক্রির জন্য দিন-রাত সমানতালে পরিশ্রম করছেন তারা। যেন দম ফেলার সময় নেই। কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ-তোষক ও বালিশ। কারিগররা কেউ তুলো ধুনছে, কেউ ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে, কেউ বা লেপে হরেকরকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন।
উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম  ক্ষিরোদিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন  সময়ের প্রত্যাশা কে  বলেন, এখনো শীতের দেখা না মিললেও আগেভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।
আরেক ক্রেতা সেনাজ উদ্দিন সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন ,শীত শুরুর আগেই লেপ-তোষক অর্ডার দিয়েছি। দাম গতবারের চেয়ে বেশি।
ওছখালাী বাজারের ফারিয়া বেডিং স্টোরের মালিক মো: এমরান হোসেন  সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, শীত এখনো জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ-তোষক বানাতে আসছেন। এ বছর ক্রেতার সংখ্যা বেশি। ক্রেতাদের কথা ভেবে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে অর্ডারি কাজের পাশাপাশি রেডিমেট জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছেন এই লেপ-তোষকের দোকান মালিক।
বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৬০০টাকা , কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০টাকা,  কালো হুল ৮০ টাকা , কালো রাবিশ তুলা ৬০ টাকা, সাদা তুলা ১২০  টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতিপিছ লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়েছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকা গজ হিসেবে লেপ-তোষকের কাপড় বিক্রি করছেন দোকানদাররা। প্রতি পিছ ছোট লেপ ১০০-১২০০ টাকা, বড় লেপ ১৬০০-১৮০০ টাকা এবং প্রতি পিছ তোষক ছোট ৯০০-১২০০ টাকা ও বড় তোষক ২২০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম থাকায় চাহিদাও বেশি থাকে।
এ সময় অনেক কারিগর ও ব্যবসায়ী শীত আসার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদ রাখেন।ব্যবসায়ীরা জানান, সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষকের দাম আরো বাড়বে।