ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঠিকাদারের অবহেলায় হতাশ কর্তৃপক্ষ

মুকসুদপুরে বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার স্বরুপী শালিনা বক্সা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা ফাউন্ডেশনে এক তলা ভবনের ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে প্রায় এক বছর আগে অথচ কাজ প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ এর অবহেলায় এখনো সেখানে পৌছায়নি ভবন নির্মাণের কোন সরঞ্জাম। হতাশায় ভুগছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,  ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি স্থাপিত হয়েছিল স্বরুপী শালিনা বক্সা উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে ১৫ জন শিক্ষক এবং ৪১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে অনেকটা সুনামের সাথে চলছে এ বিদ্যালয়টি। এ বছরও প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনে এবং জ্বরা জ্বীর্ণ একটি টিন সিটে। যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজতে হয় শিক্ষার্থীদের। ঝুঁকি পূর্ণ ভবন থেকে মাঝে মাঝে ধসে পড়ে প্লাস্টারের স্তুপ।
জানা যায়,  গত এক বছর পূর্বে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বিদ্যালয়ের একটি ভবন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যে ভবনের প্রায় এক বছর পূর্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ এর ওয়ার্ক অর্ডার পেলেও এখন পর্যন্ত কোন মালামাল বা ভবন নির্মাণের কোন সরঞ্জাম সেখানে পৌছায়নি।
শালিনা বক্সা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদ লস্কর বলেন,  আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এক বছর হলো। এর অনেক আগেই ভবন বরাদ্দ হয়েছে। টিন সেট ভবন ভেঙে দিয়ে ভবন নির্মাণ করতে জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে,  বিশুদ্ধ ডিপ টিউবওয়েল তুলে ফেলা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোন কাজ শুরু করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কেন কাজ শুরু করেনি বুঝতে পারছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাত আলী মোল্লা বলেন, শুনেছি একটি নতুন ভবনের বরাদ্দ হয়েছে। কি কারণে নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি বিষয়টি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস ভালো বলতে পারবেন। আমার জানা নাই।
উপ সহকারী প্রকৌশলী সজিব কুমার হালদার বলেন, কাজটি পেয়েছেন শাহরিয়ার কবির বিপ্লব ভাই। প্রথমে আমাদের টিনসেট ভেঙে দিতে বলেন। আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলে পুরাতন টিনসেট ভেঙে দিয়েছি। ভবন নির্মাণ করতে জায়গা ফাঁকা করার পরে তার সাড়া পাচ্ছি না। ফোন করলে ধরে, ধরে না এভাবেই কোন গুরুত্ব পাচ্ছি না। এখনো ভবন নির্মাণের কোন সরন্জাম সেখানে পৌছায়নি।
মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী শাহরিয়ার কবির বিপ্লব বলেন, কিছু সমস্যার কারণে কাজ শুরু করতে পারিনাই, তাড়াতাড়ি কাজ ধরবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই, তবে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি  দ্রুত এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ঠিকাদারের অবহেলায় হতাশ কর্তৃপক্ষ

মুকসুদপুরে বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ

আপডেট টাইম : ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার স্বরুপী শালিনা বক্সা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা ফাউন্ডেশনে এক তলা ভবনের ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে প্রায় এক বছর আগে অথচ কাজ প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ এর অবহেলায় এখনো সেখানে পৌছায়নি ভবন নির্মাণের কোন সরঞ্জাম। হতাশায় ভুগছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,  ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি স্থাপিত হয়েছিল স্বরুপী শালিনা বক্সা উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে ১৫ জন শিক্ষক এবং ৪১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে অনেকটা সুনামের সাথে চলছে এ বিদ্যালয়টি। এ বছরও প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনে এবং জ্বরা জ্বীর্ণ একটি টিন সিটে। যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজতে হয় শিক্ষার্থীদের। ঝুঁকি পূর্ণ ভবন থেকে মাঝে মাঝে ধসে পড়ে প্লাস্টারের স্তুপ।
জানা যায়,  গত এক বছর পূর্বে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বিদ্যালয়ের একটি ভবন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যে ভবনের প্রায় এক বছর পূর্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ এর ওয়ার্ক অর্ডার পেলেও এখন পর্যন্ত কোন মালামাল বা ভবন নির্মাণের কোন সরঞ্জাম সেখানে পৌছায়নি।
শালিনা বক্সা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদ লস্কর বলেন,  আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এক বছর হলো। এর অনেক আগেই ভবন বরাদ্দ হয়েছে। টিন সেট ভবন ভেঙে দিয়ে ভবন নির্মাণ করতে জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে,  বিশুদ্ধ ডিপ টিউবওয়েল তুলে ফেলা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোন কাজ শুরু করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কেন কাজ শুরু করেনি বুঝতে পারছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাত আলী মোল্লা বলেন, শুনেছি একটি নতুন ভবনের বরাদ্দ হয়েছে। কি কারণে নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি বিষয়টি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস ভালো বলতে পারবেন। আমার জানা নাই।
উপ সহকারী প্রকৌশলী সজিব কুমার হালদার বলেন, কাজটি পেয়েছেন শাহরিয়ার কবির বিপ্লব ভাই। প্রথমে আমাদের টিনসেট ভেঙে দিতে বলেন। আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলে পুরাতন টিনসেট ভেঙে দিয়েছি। ভবন নির্মাণ করতে জায়গা ফাঁকা করার পরে তার সাড়া পাচ্ছি না। ফোন করলে ধরে, ধরে না এভাবেই কোন গুরুত্ব পাচ্ছি না। এখনো ভবন নির্মাণের কোন সরন্জাম সেখানে পৌছায়নি।
মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী শাহরিয়ার কবির বিপ্লব বলেন, কিছু সমস্যার কারণে কাজ শুরু করতে পারিনাই, তাড়াতাড়ি কাজ ধরবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই, তবে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি  দ্রুত এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি।