ঢাকা , শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ৫০ শতাংশ ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ Logo ফরিদপুর -২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জামাল হোসেন মিয়া Logo এমপি হতে পারলে নারীদের অগ্রাধিকার ও ঘরে ঘরে চাকরী দেয়ার আশ্বাসঃ -মহমুদা বেগম কৃক Logo ফরিদপুরে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হাতিয়ায় সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে ধ্বংস, আটক ১ Logo পর্তুগালের নব নিযুক্ত রাষ্টদূতের সাথে বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় Logo দৌলতপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা Logo মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা Logo ইনুর আসনে লড়তে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াই মিলবে চার পণ্য

ঢাকায় ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৩০টি ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে চারটি নিত্যপণ্য বিক্রি হবে। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির এ তথ্য জানান। খাদ্য নিরাপত্তা ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি।
ফ্যামিলি বা পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এই পণ্য বিক্রি হবে না। যাঁরা এই কার্ড পাননি, তাঁদের জন্য এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। টিসিবির ব্যবস্থাপনায় এই ট্রাক সেল থেকে একজন ক্রেতা দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
পেঁয়াজ বিক্রি হবে ৫০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা ও মসুর ডাল ৭০ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১০০ টাকায়। 
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ মানুষের জন্য পণ্য থাকবে। 

অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৯ হাজার ক্রেতা এসব ট্রাক থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন। এরপর পণ্যের জোগান বাড়লে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে তিনি জানান, কাল (আজ) পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরো দুই-তিন দিন লাগতে পারে। ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ড জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ঢাকায় অনেকে থাকেন, পরিচয়পত্রে গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করার কারণে তাঁরা পরিবার কার্ড পাননি। সেই মানুষদের কথা চিন্তা করে এই উন্মুক্ত ট্রাকে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যসচিব। 
সংবাদ সম্মেলনে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বাণিজ্যসচিব। তিনি বলেন, ডিম ও আলু আমদানির পর দাম কমেছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুই লাখ টন। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি, যদিও আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার পিস। কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কারণে ডিম আমদানিতে সময় লেগেছে। এ ছাড়া চিনি, তেলসহ অন্য পণ্য আমদানিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী আলুর দাম আরো কমাতে জেলা প্রশাসন থেকে একজন কর্মকর্তাকে কোল্ড স্টোরেজে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাঁর উপস্থিতিতে আলু সরকারি নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ ২৭ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হবে। এ ছাড়া হিমাগার থেকে আলু বের হবে না। খুচরা পর্যায়ে যেন তা ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ করবে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার। আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিমের দাম কমানো, আমদানি নয়। এখন বাজারে দাম কমে গেলে আমদানিকারকরা উৎসাহিত না-ও হতে পারেন। কিন্তু বাজারে দাম ঠিক থাকলে সেটা সমস্যা হবে না।

 

সরকারিভাবে যেসব পণ্য বিক্রি করা হবে, বাজারে সেসব পণ্যের দাম সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশে উঠে গেছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দাম যত দিন স্থিতিশীল না হয়, তত দিন আমদানি চলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমনচিনি ও তেল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৫০ শতাংশ ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ

error: Content is protected !!

ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াই মিলবে চার পণ্য

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
ঢাকায় ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৩০টি ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে চারটি নিত্যপণ্য বিক্রি হবে। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির এ তথ্য জানান। খাদ্য নিরাপত্তা ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি।
ফ্যামিলি বা পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে এই পণ্য বিক্রি হবে না। যাঁরা এই কার্ড পাননি, তাঁদের জন্য এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। টিসিবির ব্যবস্থাপনায় এই ট্রাক সেল থেকে একজন ক্রেতা দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
পেঁয়াজ বিক্রি হবে ৫০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা ও মসুর ডাল ৭০ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১০০ টাকায়। 
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ মানুষের জন্য পণ্য থাকবে। 

অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৯ হাজার ক্রেতা এসব ট্রাক থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন। এরপর পণ্যের জোগান বাড়লে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে তিনি জানান, কাল (আজ) পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আরো দুই-তিন দিন লাগতে পারে। ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ড জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ঢাকায় অনেকে থাকেন, পরিচয়পত্রে গ্রামের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করার কারণে তাঁরা পরিবার কার্ড পাননি। সেই মানুষদের কথা চিন্তা করে এই উন্মুক্ত ট্রাকে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যসচিব। 
সংবাদ সম্মেলনে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বাণিজ্যসচিব। তিনি বলেন, ডিম ও আলু আমদানির পর দাম কমেছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুই লাখ টন। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি, যদিও আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার পিস। কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কারণে ডিম আমদানিতে সময় লেগেছে। এ ছাড়া চিনি, তেলসহ অন্য পণ্য আমদানিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী আলুর দাম আরো কমাতে জেলা প্রশাসন থেকে একজন কর্মকর্তাকে কোল্ড স্টোরেজে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাঁর উপস্থিতিতে আলু সরকারি নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ ২৭ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হবে। এ ছাড়া হিমাগার থেকে আলু বের হবে না। খুচরা পর্যায়ে যেন তা ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ করবে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার। আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিমের দাম কমানো, আমদানি নয়। এখন বাজারে দাম কমে গেলে আমদানিকারকরা উৎসাহিত না-ও হতে পারেন। কিন্তু বাজারে দাম ঠিক থাকলে সেটা সমস্যা হবে না।

 

সরকারিভাবে যেসব পণ্য বিক্রি করা হবে, বাজারে সেসব পণ্যের দাম সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশে উঠে গেছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দাম যত দিন স্থিতিশীল না হয়, তত দিন আমদানি চলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমনচিনি ও তেল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।