ভারতের পাশাপাশি এবার চীন থেকে আলু আমদানির অনুমতি চেয়েছেন আমদানিকারকরা। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আলু দেশে আনা হয়েছে। প্রতিদিন দেশে আসছে টন কে টন। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমে এই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। সেই তুলনায় ঢাকায় দাম কমেছে সামান্য। মঙ্গলবার ঢাকার খুচরা বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলু মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। যা তিনদিন আগেও ছিল ৬০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সময়ও ৭০ টাকা কেজি ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা আলুর পরিমাণ চাহিদার তুলনায় কম হলেও দেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া বাজারে উত্তরাঞ্চলের আগাম আলু আসতে শুরু করেছে।
সেই সঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে শীতকালীন সবজির। কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সবজির দাম। নতুন সবজিতে ভরে উঠছে কাঁচা বাজার। পণ্যমূল্যের তেজিভাব কমে আসায় স্বস্তি ফিরছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে আলু আমদানি, অন্যদিকে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে এলে ডিসেম্বরের শেষে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। আমদানির কারণে ডিম ও আলুর দাম কমছে। ডিসেম্বরে নতুন উৎপাদিত পণ্য বাজারে এলে দাম কমবে। এর আগে চাপের মধ্যে থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মৌসুমটা এমন যে, বছরের শেষ পর্যায়, এ সময়ে বাজারে স্টক থাকে না। কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে এ সময়ে বেশি পণ্য থাকে। এ কারণে এ সময়ে দাম বাড়ে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। দামের বিষয়ে ডিসির নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিংসহ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আমদানি অনুমতির পর গত ২ নভেম্বর ভারত থেকে প্রথম আলু আমদানি শুরু হয়। এরপর গত পাঁচদিনে দেশে আলু এসেছে ২ হাজার ৭০০ টন। এখনো পর্যন্ত সরকার থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারের তুলনায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম আরও অনেক বেশি কমেছে। তবে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে কম। পাইকারি বাজারে দেশি আলুর দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা কমেছে। অন্যদিকে, সরকার নির্ধারিত আলুর দাম খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে এখনো কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। কিছু পাড়া মহল্লার দোকানে আবার এখনো ক্রেতাদের ৬০ টাকা কেজিতেই আলু কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারে লক্ষ্মী ভান্ডারের গোপাল চন্দ্র বলেন, পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা দামে। যা আগের থেকে ১৫ টাকা কম। যে কারণে খুচরা বাজারে ৪০-৪৫ টাকা দামে আলু বিক্রি করার কথা। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এখনো দাম কমাননি। আগে কেনার অজুহাতে সামান্য কিছু কমিয়ে বিক্রি করছে।
দাম নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে অস্থিরতা কমাতে করতে সরকার গত ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেয়। এর দুইদিনের মাথায় দেশে আমদানির আলু আসতে শুরু করে। ২ নভেম্বর প্রথম দিনে আসে ৭৭ টন। সরকার এখন পর্যন্ত ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭ হাজার ২১৫ টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতিদিন শত শত টন আলু হিলিসহ দেশের অন্যান্য স্থল বন্দর দিয়ে আনা হচ্ছে। নতুন করে আরও অনেকে আমদানির জন্য আবেদন করছেন। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
ভারতের পাশাপাশি কয়েকজন আমদানিকারক চীন থেকেও আলু আমদানির অনুমতি চেয়েছেন বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমাতে চীন থেকেও আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে। আলু আমদানির খবরে হিমাগার মালিক থেকে শুরু করে এ খাতের অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা তাদের মজুতকৃত আলু বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন। মালিবাগ রেলগেট বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রশিদ তালুকদার বলেন, ব্যবসায়ীরা আলু গোডাউনে রেখেছিল। যখন শুনেছে ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। তখন তারা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে। দুইদিন আগে যে আলুর বস্তা বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার টাকায়, সেই একই আলুর বস্তা এখন ২৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বেশি মুনাফার আশায় এবার উত্তরবঙ্গ, বগুড়া, ও মুন্সীগঞ্জের চাষিরা আগাম আলু চাষে মাঠে নেমেছেন। বাজারে আলুর দাম বেশি থাকায় আগ্রহী চাষি জমি তৈরি করে আলু বীজ বপন করেছেন। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম জাতের আলু চাষ হচ্ছে। কৃষি অফিস বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্বিগুণ ফলন পাবেন চাষিরা। আলু উৎপাদনে দেশের শীর্ষ জেলা বগুড়া। গত মৌসুমে এ জেলায় ৫৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমি থেকে ১২ লাখ ২৪ হাজার টন আলু উৎপাদন হয়। পাকড়ি, এস্টারিক্স, কারেজ, কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, গ্র্যানোলাসহ ৩০ জাতের আলু চাষ হয় বগুড়ায়। প্রতি বিঘায় প্রকারভেদে সর্বোচ্চ ১২০ মণ পর্যন্ত আলু পাওয়া যায়।
জেলার চাহিদা ২ লাখ টন। এ চাহিদা মিটিয়ে বাকি ১০-১১ লাখ টন আলু যায় রাজধানীসহ সারাদেশে। চলতি বছরের অক্টোবরে আলু চাষের মৌসুমের শুরুতে দাম বেড়েছে। এ কারণে অনেক কৃষকই বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগাম জাতের আলু চাষ শুরু করেছেন। নতুন এ আলু বাজারে আসতে শুরু করলে দাম আরও কমবে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
আলুর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য জেলায় শীতের সবজি ওঠা শুরু হয়েছে। ঢাকার বাজারগুলোতে এখন বড় আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপি, নতুন শিম, মুলা, লাউ ও অন্যান্য শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে সবজির। কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে সবজির দাম। এ প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের সবজির পাইকারি ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেন, সরবরাহ বাড়ায় প্রতিদিন দাম কমছে। বিশেষ করে শীতের নতুন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউসহ সব ধরনের সবজি আসছে বাজারে।
ইতোমধ্যে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশ কমে গেছে। আপাতত সবজির দাম আর বাড়বে না। তিনি জানান, সামনের দিনগুলোতে সবজির সরবরাহ শুধু বাড়বে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাজার ভরপুর থাকবে সবজিতে। শাক-সবজির দাম কমতে থাকায় বাজারের অস্থিরতা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। বিশেষ করে শাকের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রতি আঁটি শাক ২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেই শাক ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন র্যাংকিন স্ট্রিটের বাসিন্দা আসলাম আলী। তিনি জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তায় সবজির দাম কমেছে। শাকের আঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউসহ বাজারে অন্যান্য সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে আগের চেয়ে কিছুটা কমদামে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে। ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা উসমান বেপারি জানান, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম পড়তির দিকে। তিনি জানান, সামনে দাম কমবে, আপাতত আর সবজির দাম বাড়বে না।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে শিম ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেটা এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে কিনছেন ক্রেতারা। আগে ছোট সাইজের ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। এখন এ দামেই বড় সাইজের কপি ক্রেতারা পাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে সবজির দাম আরও কমে আসবে। এছাড়া পটল, ঢেঁড়স, বরবটির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমেছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আশা করি এটা আগামী মাস থেকে কমে আসবে। ডিসেম্বরের শেষে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আগামী এক মাস হয়তো আমাদের একটু চাপের মধ্যে থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, আসলে কৃষি পণ্যের বেলায় মনে রাখতে হবে, আলু কেউ যদি মজুত করে রাখে এবং সে যদি পচিয়ে ফেলে, ব্যবসায়ীর কোনো লাভ নেই। এ ধরনের পচনশীল পণ্যের যখন দাম বাড়ে, আমাদের তখন দেখতে হবে, সাপ্লাইয়ে সমস্যা আছে কি না। অথবা হঠাৎ কোনো কারণে ডিমান্ডও (চাহিদা) কিন্তু বেড়ে যেতে পারে।
সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের অবশ্যই মনিটরিং আছে। কিন্তু অবশ্যই এরপরেও আমাদের কিন্তু ভরসা করতে হয় যারা বিক্রেতা, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের ওপরেই। কারণ দোকানে-দোকানে গিয়ে কিন্তু প্রতিনিয়ত আপনি পাহারা দিতে পারবেন না। সুতরাং আমরা সবাইকে, জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, আমরা এলাকার রাজনৈতিক নেতাসহ অন্যান্য সামাজিক সংস্থাকেও বলেছি যে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যে পণ্য বিপণন কমিটি আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি আছে, তাদের নিয়ে ঘন ঘন সভা করে এলাকায় মানুষকে সম্পৃক্ত করে, যেন সবাই পরিস্থিতিটা আমরা বুঝি। এখন মানুষজনকে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, সুতরাং আমরা যেন সবাই যার যার ভূমিকা সেটা পালন করি। আশা করি ডিসেম্বরের শেষে ফসল চলে এলে অবস্থা উন্নত হবে।
জানা যায় বেনাপোল দিয়ে ডিম আমদানির পরই যশোরের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি ডিমের পাইকারি দাম কমেছে দেড় টাকা। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ দামে ডিম কিনেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ফলে তারা আগের দিনের থেকে এক থেকে দেড় টাকা কমে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে ভোক্তারা খুশি হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় ডিম বাজারে আসার আগেই দেশীয় উৎপাদকরা কিভাবে দাম কমিয়ে দিল? উৎপাদন খরচ কি কমে গেছে? তারা ইচ্ছা করে ডিমের দাম একের পর এক বৃদ্ধি করছিল।
যশোরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম আগের দিনের ১৩ টাকার স্থলে সোম এবং মঙ্গলবার ১১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ১২ টাকায় বিক্রি করছেন। যশোর শহরের কেশবলাল সড়কের এনকে স্টোরের খুচরা ব্যবসায়ী দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ১৩ টাকার ডিম বিক্রি করছি সাড়ে এগারো টাকায়। রবিবার পাইকারি দাম ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। সোম এবং মঙ্গলবার কিনেছি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। বিক্রি করছি ১১ টাকা ৫০ পয়সায়। অবশ্য কেউ কেউ ১২ টাকায় বিক্রি করছেন।
যশোরের আফিল এগ্রো’ লিমিটেডের এজিএম তোফায়েল আহমেদ জানান, আফিল এগ্রোর প্রতিটি ডিম মঙ্গলবার পাইকারি বিক্রি করা হয় ১০ টাকা ৫০ পয়সা করে। রবিবার এর দাম ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। তিনি বলেন, উৎপাদনের ওপর ডিমের দাম ওঠানামা করে। শীতকালে উৎপাদন বেশি হয়। প্রতি শীত মৌসুমেই ডিমের দাম কমে। আমাদের উৎপাদিত ডিমের দাম আরও কমবে। আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার ডিম। বাজারে প্রভাব ফেলার জন্য তেমন কিছু না। আমদানির কারণে আমরা দাম কমাইনি। আর আগের তুলনায় এখন ডিমের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত, দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুইটি ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস মুরগির ডিমের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দেশের বাজারে ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই মোতাবেক ভারত থেকে প্রথম চালান এলো। প্রতি পিস ডিমের ভারতে ক্রয় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিস ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবার লবণ আমদানির অনুমতি ॥ ডিম ও আলুর পর এবার লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক কারণে লবণের উৎপাদন মৌসুম বিলম্বিত হচ্ছে। বাজারে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে থেকেই এটার মৌসুম (উৎপাদন) শুরু হওযার কথা, তো এটা একটু পিছিয়ে গেছে বলেই শিল্প মন্ত্রণালয় হয়তো মনে করেছে যে, পূর্ব সতর্কতা হিসেবে কিছু লবণ আমদানি করে রাখলে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য এটা (অনুমতি) দিয়েছে।’