এমআরটি লাইন-৫ এর ১৪টি স্টেশন হলো- হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, বিলামালিয়া, আমিন বাজার, গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর ১, মিরপুর ১০, মিরপুর ১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান ২, নতুন বাজার, ভাটারা। এর মধ্যে পাতাল স্টেশন- গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর ১, মিরপুর ১০, মিরপুর ১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান ২ ও নতুন বাজার। বাকি পাঁচটি উড়াল স্টেশন হলো- হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, বিলামালিয়া, আমিন বাজার ও ভাটারা।
এ রুটের মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় ১২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে ১৪টি স্টেশনে থেমে ৩২ মিনিটে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত যাতায়াত করবে। ৮ কোচবিশিষ্ট ১৮ সেট মেট্রো ট্রেন দিয়ে পরিচালনা শুরু করা হবে। তবে ভবিষ্যতে ৪২ সেট মেট্রো ট্রেনে উন্নীত করার সুযোগ থাকবে। মাঝের ছয়টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন এবং ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রতিটি মেট্রো ট্রেনে সর্বোচ্চ ৩০৮৮ জন যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা রয়েছে।
প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৫৩,২০০ যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের ফলে ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কম হবে। ঢাকা মহানগরীর জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। যানজট বহুলাংশে হ্রাস পাবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত কর্মঘণ্টা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে। এমআরটি লাইন-৫ এর টানেল মূল সড়ক বরাবর মাটির ৫৬ ফুট থেকে ১৫৩ ফুট গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। টানেল নির্মাণে ব্যবহার করা হবে বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)।
প্রিন্ট