পূর্ব শত্রুতার জেরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভাতের সাথে বিষ মিশিয়ে কৃষকমতিয়ার শেখের ৭টি মুরগী ও একটি পোষা বিড়াল মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আরও ৮টি মুরগী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বুড়াইচ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা রাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে বিচার দিতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত কালু মিয়া গতিরোধ করে মতিয়ার শেখের ছেলে মিজানুর রহমানকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে।আহত মিজানুরকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাবলু খলিফা ও কালু মিয়ার বিরুদ্ধে ওই দিন রাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মতিয়ার শেখ।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বুড়াইচ গ্রামের মতিয়ার শেখের সাথে প্রতিবেশি বাবলু খলিফার সাথে দির্ঘদিনের বিরোধ চলে আসচ্ছে। মঙ্গলবারে মতিয়ার শেখের নিকটতম আত্মীয় মারা যাওয়ার পর পরিবারের সবাই সকালে আত্মীয় বাড়িতে চলে যায়। বিবাদীদ্বয় সুযোগ বুঝে ভাতের সাথে বিষ মিশাইয়া বাড়িতে থাকা ১৫টি মুরগী ও একটি বিড়ালকে খাওয়ায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে ৭টি মুরগী ও একটি বিড়ালকে মৃত্যু আবস্থায় দেখতে পান তারা।আরও ৮টি মুরগী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান।
এ ঘটনায় রাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে বিচার দিতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত কালু মিয়া গতিরোধ করে মতিয়ার শেখের ছেলে মিজানুর রহমানকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। আহত মিজানুরকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দিন রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মতিয়ার শেখ।
সরেজমিন বাবলু খলিফার বাড়িতে গেলে তাঁর স্ত্রী আমেলা বেগম জানান,আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। আমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের শত্রুতামূলক ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তারা প্রয়োজনে মরা মুরগী নিয়ে ডাক্টারী পরিক্ষা করে দেখুক।
কালু মিয়া জানান, ওই সময় মিজানুরআমাকে উদ্দেশ্যে করে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে প্রথমে গায়ে হাত তোলে। এরপর তাকে আমি মিজানকে মেরেছি। আমরা বিষ প্রয়োগ করে মুরগী ও বিড়াল মারার ঘটনার সাথে জড়িত না।
ওসি মো. আবু তাহের বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট