ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখতে ইমামদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন

  • বাসস
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • ৯৮ বার পঠিত
ইসলামকে শান্তি, সৌহার্দ ও মানবতার ধর্ম আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। তিনি বলেন, দেশে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা বা নির্যাতন না করার জন্য আপনাদের (ইমাম-মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামা) সহযোগিতা চাই। তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে আমরা দেশের আরও উন্নয়ন করতে পারি। সোমবার ‘জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ষষ্ঠ দফায় আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম; যা আমাদের নবি করিম মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী, সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি। তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে-এ বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কাজেই এদিকে লক্ষ রেখে আমাদের দেশের সন্তান যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সেজন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এদিকে দৃষ্টি দিতে আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা চাই-আমাদের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। এদেশকে আমরা আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করতে চাই।

জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন। মসজিদে নববির ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াইজান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তরিকত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, মাওলানা এহসানুল হক আল মোজাদ্দেদী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্মসচিব এ হামিদ জমাদ্দার। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম-মুসল্লি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর যে আক্রমণ এবং নির্বিচারে ছোট্ট শিশু ও নারী হত্যা করা হচ্ছে, আমরা এটা কখনো চাই না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো ফিলিস্তিনের নারী-শিশু ও সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

 

সবার দোয়া চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দোয়া করবেন যেন দেশের মানুষের সেবা করে যেতে পারি। আর বাংলাদেশ আজ যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে যেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসাবে গড়ে তুলতে পারি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখতে ইমামদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
ইসলামকে শান্তি, সৌহার্দ ও মানবতার ধর্ম আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। তিনি বলেন, দেশে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা বা নির্যাতন না করার জন্য আপনাদের (ইমাম-মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামা) সহযোগিতা চাই। তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে আমরা দেশের আরও উন্নয়ন করতে পারি। সোমবার ‘জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ষষ্ঠ দফায় আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম; যা আমাদের নবি করিম মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী, সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি। তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে-এ বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কাজেই এদিকে লক্ষ রেখে আমাদের দেশের সন্তান যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সেজন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এদিকে দৃষ্টি দিতে আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা চাই-আমাদের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। এদেশকে আমরা আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করতে চাই।

জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন। মসজিদে নববির ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াইজান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তরিকত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, মাওলানা এহসানুল হক আল মোজাদ্দেদী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্মসচিব এ হামিদ জমাদ্দার। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম-মুসল্লি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর যে আক্রমণ এবং নির্বিচারে ছোট্ট শিশু ও নারী হত্যা করা হচ্ছে, আমরা এটা কখনো চাই না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো ফিলিস্তিনের নারী-শিশু ও সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

 

সবার দোয়া চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দোয়া করবেন যেন দেশের মানুষের সেবা করে যেতে পারি। আর বাংলাদেশ আজ যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে যেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসাবে গড়ে তুলতে পারি।