এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই কলেজশিক্ষার্থীর মাতা মুর্শিদা বেগম আলফাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
নিয়াজ রাজধানীর বাড্ডা টেকনিক্যাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার পানাইল গ্রামের আরিফুজ্জামান শেখের ছেলে নিয়াজের সাথে একই এলাকার পলাশ তালুকদার ও মামুনের বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার নিয়াজ ইফতার শেষে তার চাচাতো ভাই রাশেদুলের সাথে মধুমতি নদীর বকজুড়ি ঘাটের পশ্চিম পাড়ে যায়।
এসময় ওঁৎ পেতে থাকা ৬-৭ জন তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরে পলাশ তালুকদার, রহমত তালুকদার ও আলামিন তালুকদার হকিস্টিক ও সাইকেলের চেইন দিয়ে নিয়াজকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর রক্তজমাট কালচে জখম করে।
মার খেয়ে নিয়াজ মাটিতে পড়ে গেলে অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি ও পা দিয়ে পাড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় তার চাচাতো ভাই রাশেদুলকেও তারা মারপিট করে।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নিয়াজকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমান নেয়াজ সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত পলাশ তালুকদারের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন। পরে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার রাত ৯টায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রিন্ট