ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলার মধ্যে দিয়ে শেষ হল দেবী দুর্গার বিসর্জন

বিজয়া দশমীর মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তদের চোখের জলে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। তবে উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সবধরনের সহযোগীতা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।কত সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন রক্ষাকারী বাহিনী।

উপজেলার সীমান্ত এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্রকরে এপার বাংলা, ওপার বাংলার সীমান্ত এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে সব ধর্মের মানুষ মেতে উঠেছিলো এক মেলবন্ধনে। তবে এবার সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা থাকায় সুবিধা করে উঠতে পারেনি সীমান্ত এলাকায় দেখা করতে আশা দুই দেশের মানুষ।

সীমান্তে এপারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ এলাকা ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুর থানার শীকারপুর। দুই বাংলাকে মাঝ বরাবর ভাগ করেছে পদ্মার শাখা নদী মাথাভাঙ্গা। প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুই দেশে থাকা আত্মিয়-স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে এখানে ভিড় করেন দুই দেশের মানুষ। প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন তারা, আবার পরবর্তি বছরের অপেক্ষা নিয়ে ফিরে গেলেন দুই পাড়ের স্বজনেরা।

আবুল হোসেন নামের মেহেরপুর জেলা থেকে আশা এক বেক্তি জানান, তারা প্রতিবছর প্রতিমা বিসর্জনের দিন সীমান্ত এলাকায় আসেন ভারতে থাকা আত্মীয় স্বজনের এক নজর চখের দেখার জন্য। তবে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা থাকার কারণে এবার চোখের দেখারও সুযোগ তৈরি হয়নি।

মমতাজ বেগম নামের আরেকজন জানান, পাসপোর্ট করে তাদের স্বজনদের সাথে দেখাকরা খরচের বিষয় তাই এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন, তবে এবার দেখা না হওয়ায় তারা মনখারাপ করে ফিরে গেছেন।

সফুরা খাতুন নামের আরেকজন জানান, আমি আমার ভাই ভাবির সাথে দেখা করতে এসেছিলাম দেখা হয়ে সবাই আনন্দে কান্না কাটি শুরু করে দিয়ে ছিলো আবার পরবর্তী বছরের অপেক্ষা ফিরে যাচ্ছি।

কালু হোসেন নামের আরেকজন জানান, ভারতে তার বোনের বাড়ি বোনকে এই সুযোগে একটু দেখতে এসেছিলেন তবে সীমান্তে নিরাপত্তা জটিলতার কারনে পারেননি।

তবে দুই দেশে থাকা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার একটা সুযোগ তৈরি হয় এই দিনে। তাদের একটি সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা উচিত দুইদেশের।

এছাড়াও এই এলাকার উৎসুক জনতাও এখানে ভিড় জমায়।প্রতিমা বিসর্জন কে কেন্দ্র করে এবার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কঠোর অবস্থানে ছিল দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। সন্ধায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ইতি টানে সনাতন ধর্মের জনতা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলার মধ্যে দিয়ে শেষ হল দেবী দুর্গার বিসর্জন

আপডেট টাইম : ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

বিজয়া দশমীর মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তদের চোখের জলে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। তবে উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সবধরনের সহযোগীতা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।কত সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন রক্ষাকারী বাহিনী।

উপজেলার সীমান্ত এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্রকরে এপার বাংলা, ওপার বাংলার সীমান্ত এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে সব ধর্মের মানুষ মেতে উঠেছিলো এক মেলবন্ধনে। তবে এবার সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা থাকায় সুবিধা করে উঠতে পারেনি সীমান্ত এলাকায় দেখা করতে আশা দুই দেশের মানুষ।

সীমান্তে এপারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ এলাকা ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুর থানার শীকারপুর। দুই বাংলাকে মাঝ বরাবর ভাগ করেছে পদ্মার শাখা নদী মাথাভাঙ্গা। প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় দুই দেশে থাকা আত্মিয়-স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে এখানে ভিড় করেন দুই দেশের মানুষ। প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন তারা, আবার পরবর্তি বছরের অপেক্ষা নিয়ে ফিরে গেলেন দুই পাড়ের স্বজনেরা।

আবুল হোসেন নামের মেহেরপুর জেলা থেকে আশা এক বেক্তি জানান, তারা প্রতিবছর প্রতিমা বিসর্জনের দিন সীমান্ত এলাকায় আসেন ভারতে থাকা আত্মীয় স্বজনের এক নজর চখের দেখার জন্য। তবে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা থাকার কারণে এবার চোখের দেখারও সুযোগ তৈরি হয়নি।

মমতাজ বেগম নামের আরেকজন জানান, পাসপোর্ট করে তাদের স্বজনদের সাথে দেখাকরা খরচের বিষয় তাই এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন, তবে এবার দেখা না হওয়ায় তারা মনখারাপ করে ফিরে গেছেন।

সফুরা খাতুন নামের আরেকজন জানান, আমি আমার ভাই ভাবির সাথে দেখা করতে এসেছিলাম দেখা হয়ে সবাই আনন্দে কান্না কাটি শুরু করে দিয়ে ছিলো আবার পরবর্তী বছরের অপেক্ষা ফিরে যাচ্ছি।

কালু হোসেন নামের আরেকজন জানান, ভারতে তার বোনের বাড়ি বোনকে এই সুযোগে একটু দেখতে এসেছিলেন তবে সীমান্তে নিরাপত্তা জটিলতার কারনে পারেননি।

তবে দুই দেশে থাকা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার একটা সুযোগ তৈরি হয় এই দিনে। তাদের একটি সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা উচিত দুইদেশের।

এছাড়াও এই এলাকার উৎসুক জনতাও এখানে ভিড় জমায়।প্রতিমা বিসর্জন কে কেন্দ্র করে এবার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কঠোর অবস্থানে ছিল দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। সন্ধায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ইতি টানে সনাতন ধর্মের জনতা।


প্রিন্ট