হানিফ বলেন, যে কোন শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নাম করে যদি অশান্তি সৃষ্টি করা হয় কোন নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে সেটাকে সরকার কঠোর হস্তেই দমন করবে। এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
হানিফ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালিন সময়ে এই সকারই থাকবে এবং এই সরকারের অধিনেই নির্বাচন হবে। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া ইতিহাস কিন্তু আওয়ামী লীগের নাই বিএনপির আছে। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান কিন্তু এখনো পালিয়ে আছে। এদেশ থেকে মুচলিকা দিয়ে রাজনীতিকে থেকে চলে গেছে। যে দলের শীর্ষ নেতা মুচলিকা দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে পালিয়ে থাকে সেই দলের নেতাকর্মীদের অন্যদলকে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি ধামকি দেওয়া এগুলো খুবই হাস্যকর এবং বেমানান।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সব সময় মাঠে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, বিএনপির এই মহা সমাবেশে বিদেশী বিশেষ একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে। তবে কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। কারন জনগন আওয়ামী লীগের সাথে আছে। এর আগেও বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করেছে। সেই ১০ ডিসেম্বর পার হয়ে গেছে। তারা বলেছিলো ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকার পতন না হলে হাতে চুরি পরবেন। তাদের এইসব কথাবার্তা নিয়ে দেশবাসীও ভাবে না আওয়ামী লীগও ভাবে না। বিএনপি নিজেদের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য মিথ্যা আস্বাস দেয়। মিথ্যাচার করে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথেও তারা প্রতারনা করে আসছে। মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে এবার তাদের ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে আসলে ফলাফল শুন্য। হানিফ আরো বলেন, কোন কিছুতেই আওয়ামী লীগ শংকিত নয়। যতক্ষন পর্যন্ত এই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের পাশে আছে। জনগণের সমর্থন যতক্ষন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে ততক্ষন পর্যন্ত দেশী বিদেশী কোন শক্তি আওয়ামী লীগকে সরাতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্তরে বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা রোপন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি ।
- আরও পড়ুনঃ বরিশাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
প্রিন্ট