উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বেশ বাকি থাকলেও ফরিদপুরের জেলার বোয়ালমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনেক আগেভাগেই গণসংযোগে মাঠে নেমেছেন খোন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি। এখনো পর্যন্ত একমাত্র তিনিই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আগ্রহ প্রকাশ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করছেন। আর দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে মুক্তি খোন্দকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাটানো রঙিন পোস্টার।
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী খোন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও তিনি যুক্ত। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বোয়ালমারী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি ঢাকাস্থ বোয়ালমারী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং উন্নয়নমূলক সংস্থা রুরাল ডেপেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ও সামাজিক-শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ক্লাব টি.ডি.পি-র সভাপতি। এছাড়া উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুফিয়া হুদা আইডিয়াল স্কুল এবং তেলজুড়ি সামচুল উলূম মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি এর আগে উপজেলার দুটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেলজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজী সিরাজুল ইসলাম একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব বিচক্ষণতার সাথে পালন করেছেন। দুই সন্তানের জনক খোন্দকার মুক্তির এক চাচাতো ভাই এবং ভাতিজা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত। চাচাতো ভাই ইলিয়াছ শরীফ এবং এক ভাতিজা নুরে আলম মিনা বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সংক্ষেপে ডি.আই.জি)। আরেক চাচাতো ভাই তাসনিসুর রহমান কাস্টমসের এডিশনাল কমিশনার।
উপজেলার আনাচে-কানাচে রয়েছে খোন্দকার মুক্তির অবাধ বিচরণ। উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে রূপাপাত, পরমেশ্বরদী, শেখর, চতুল ইউনিয়নে রয়েছে তার একচেটিয়া অবস্থান। এছাড়া গুনবহা, সদর ও দাদপুর ইউনিয়নেও তার বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে। বোয়ালমারী পৌরসভাতেও তার অবস্থান উল্লেখযোগ্য। সদালাপী, সদাহাস্যজ্বল এবং নিরহংকারী খোন্দকার মুক্তির প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নেই রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক আর কর্মী বাহিনী।
জানতে চাইলে খরসূতি চন্দ্র কিশোর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল মামুন রনি বলেন, ওমর হাফিজ মুক্তি ভাই ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে অনেক দিন ধরে জড়িত। তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে অনেক ভালো করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এস এম মহাব্বত আলী বলেন, খোন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি অত্যন্ত সাদাসিদা একজন মানুষ। তিনি আওয়ামী পরিবারের একজন পোড় খাওয়া সদস্য। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যেহেতু দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই, তাই ওমর হাফিজ মুক্তি ভাইয়ের মতো সাদা মনের প্রার্থীরা নির্বাচনে এগিয়ে থাকবেন নি:সন্দেহে।
প্রিন্ট