কুষ্টিয়ার দিগন্তজুড়ে মাঠ যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহে চোখ যেন জুড়িয়ে যায়। হিমেল বাতাসে মিষ্টি রোদে হাসছে কৃষকের স্বপ্ন।সবুজ প্রকৃতি সবাইকে যেন মুগ্ধ করে তুলেছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেঁয়ে গেছে।
শরতের শিশির ভেজা সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। স্নিগ্ধ সকালের রোদ্দুরে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দেখা দিয়েছে রোপা আমনের পাতায় পাতায়।
প্রকৃতি যেনো রোপা আমন মাঠে সবুজ রং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে এর রূপ আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে। একই সঙ্গে চিকচিকে সবুজ পাতাগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে দিকদ্বিক। গ্রাম বাংলার দৃশ্য সত্যিই কৃষককে আরো মনোমুগ্ধ করেছে।
ভেড়ামারা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মাঠে কোথাও ফাঁকা নেই এক খন্ড জমি। যতদূর দৃষ্টি পড়ে সবুজ আর সবুজ। সেই সঙ্গে দূরে নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায় সবুজের গাঢ় রঙে একাকার হয়ে নূতন সাজে সেজেছে বাংলার প্রকৃতি।
কৃষক ধানের জমির চারদিক ঘুরে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ফলনও ভালো হবে বলেও আশা করছে চাষীরা।
সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে এখন কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফসল ভালো রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষেত থেকে আগাছা পরিষ্কার, পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার ও সার ছিটানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। কৃষকরা সন্তানের মতো পরিচর্যা করছেন ফসলি মাঠের। এরপরই কৃষকদের আমন ক্ষেত থেকে বের হবে ধানের মৌ মৌ গন্ধ।
সাতবাড়ি গ্রামের কৃষক সিদ্দীক বলেন, মাঠজুড়ে ধানের সবুজ রং দেখলে মন ভরে যায়, বুকে তৃপ্তি আসে। আশা করছি এ বছর রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে প্রায় সাড়ে ২৮হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ৮শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ অতিরিক্ত করা হয়েছে।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের সেচ পাম্পের আমিরুল ইসলাম জানান, সঠিক সময়ে পানি সেচ দিতে পারলে আল্লাহর রহমতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে এবার।
গোলাপ নগর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম,মমিন বলেন, জমিতে সঠিকভাবে পানি সেচসহ পরিচর্যার ফলে এ বছর ভালো ফলন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। একই কথা বলেন চাদগ্রামের হাসমত আলী।
ভেড়ামারা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, এ বছর ব্রি-৭৫ ধান ভাল হয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সর্বদা মাঠে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছেন এবং ফসলের রোগ-বালাই দেখে পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি আমন ধানের উৎপাদন ভালো হবে।
প্রিন্ট