ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শালিখায় ডাকাতির অভিযোগ পুলিশের তদন্ত অব্যাহত

মাগুরা শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামে মোঃ শফিউল্লাহ পাটোয়ারীর দুই পুত্র মোঃ রবিউল পাটোয়ারী ও শরিফুল ইসলাম পাটোয়ারীর মা মঞ্জিল পাটোয়ারী বাড়িতে গত বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে অনুমান রাত ১২-১ টার সময় দূর্ধষ কায়দায় ডাকাতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো। কিন্তু এবিষয়ে বড় ভাই শরিফুল ইসলাম পাটোয়ারীর (৪৩) সন্দেহ দুবাই প্রবাসী ছোট ভাই রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী (৪১) ও তার স্ত্রী কেয়া খাতুনের দিকে।

 

সরেজমিনে শুক্রবার ১৩ অক্টোবর বিকাল ৫ টার সময় পিয়ারপুর মা মঞ্জিলে গিয়ে জানা যায় ডাকাতির এই রহস্যময় ঘটনা। রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, গত বুধবার রাত ১২ টার পর ৫-৬ জন একদল কালো রঙের কাপড়ে মুখোশধারী ডাকাতগণ তার রুমে প্রবেশ করে। এসময় তাদের একজন ছোরা গলায় ধরে গামছা দিয়ে চোখ, মুখ ও হাত পিট মুড়া দিয়ে বেধে ফেলে। এরপর ডাকাত দল বলতে থাকে দুবাই থেকে আসছিস কি কি নিয়ে এসেছিস বের কর তাড়াতাড়ি। এসময় তারা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৫-৬ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, দুপুরের পর থেকে খাবার খাওয়ার পর আমার প্রচন্ড ঘুম পেয়েছিলো।

রবিউল ইসলামের স্ত্রী কেয়া খাতুন জানান, দুপুরে এসে খাবার খেয়ে আমারও ঘুম পেয়েছিলো কিন্তু তার কিছু সময় পর আমার বাপের বাড়ি দেয়াডাঙ্গা চলে যায়। এরপর পর শুনলাম বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

শরিফুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, আমার প্রায় ৮ ভরি সোনার গহনা ও প্যান্টের পকেট থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা নিয়েছে ডাকাত দল। শরিফুল ও তার স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, সেদিন সম্ভবত পানি বা খাদ্যের সাথে কোন ঘুমের ঔষধ বা অচেতন নাশক কোন দ্রব্য ব্যবহার করেছে অপরাধীরা। তার সন্দেহের দৃষ্টি ছোট ভাই রবিউল ও কেয়া খাতুনের দিকে। তিনি আরও বলেন, শালিখা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন, খুব শীঘ্রই তিনি মামলা করবেন বলে জানান।

ঘটনার এব্যাপারে পিয়ারপুর এলাকার জোহরা বেগম, ইউসুফ ভূইয়া, হোসনে আরা, গোরাপান মিয়া সহ আরও বেশ কিছু লোকজন জানান, আমরা সকালে শুনলাম রবিউল ও শরিফুলদের বাড়িতে রাতে ডাকাতি হয়েছে। তবে আমরা এলাকাবাসীর কোন লোকজন রাতে ডাকাতির ঘটনা টের পায়নি।
এদিকে এলাকাবাসীর গোপন সূত্র থেকে জানা যায়, রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী ও কেয়া খাতুন খুবই চালাক ও দুরন্তর ব্যক্তি। কিছু দিন আগেও দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে তুমুল ঝগড়াঝাটি ও পারিবারিক গোপন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো।

মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর দুপুর ২.৩০ টার সময় শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, দুই ভাইয়ের ভিতরে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা আছে এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ভিতরে অর্ন্তদন্ধের কারণে এই জাতীয় ঘটনা কেউ কোন পক্ষ করতে পারে। তবে বিষয়টি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, এরা আপন দুই ভাই একে অপরকে দোষারোপ করছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

শালিখায় ডাকাতির অভিযোগ পুলিশের তদন্ত অব্যাহত

আপডেট টাইম : ০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
শামছুর রহমান, শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি :

মাগুরা শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামে মোঃ শফিউল্লাহ পাটোয়ারীর দুই পুত্র মোঃ রবিউল পাটোয়ারী ও শরিফুল ইসলাম পাটোয়ারীর মা মঞ্জিল পাটোয়ারী বাড়িতে গত বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে অনুমান রাত ১২-১ টার সময় দূর্ধষ কায়দায় ডাকাতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো। কিন্তু এবিষয়ে বড় ভাই শরিফুল ইসলাম পাটোয়ারীর (৪৩) সন্দেহ দুবাই প্রবাসী ছোট ভাই রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী (৪১) ও তার স্ত্রী কেয়া খাতুনের দিকে।

 

সরেজমিনে শুক্রবার ১৩ অক্টোবর বিকাল ৫ টার সময় পিয়ারপুর মা মঞ্জিলে গিয়ে জানা যায় ডাকাতির এই রহস্যময় ঘটনা। রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, গত বুধবার রাত ১২ টার পর ৫-৬ জন একদল কালো রঙের কাপড়ে মুখোশধারী ডাকাতগণ তার রুমে প্রবেশ করে। এসময় তাদের একজন ছোরা গলায় ধরে গামছা দিয়ে চোখ, মুখ ও হাত পিট মুড়া দিয়ে বেধে ফেলে। এরপর ডাকাত দল বলতে থাকে দুবাই থেকে আসছিস কি কি নিয়ে এসেছিস বের কর তাড়াতাড়ি। এসময় তারা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৫-৬ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, দুপুরের পর থেকে খাবার খাওয়ার পর আমার প্রচন্ড ঘুম পেয়েছিলো।

রবিউল ইসলামের স্ত্রী কেয়া খাতুন জানান, দুপুরে এসে খাবার খেয়ে আমারও ঘুম পেয়েছিলো কিন্তু তার কিছু সময় পর আমার বাপের বাড়ি দেয়াডাঙ্গা চলে যায়। এরপর পর শুনলাম বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

শরিফুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, আমার প্রায় ৮ ভরি সোনার গহনা ও প্যান্টের পকেট থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা নিয়েছে ডাকাত দল। শরিফুল ও তার স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, সেদিন সম্ভবত পানি বা খাদ্যের সাথে কোন ঘুমের ঔষধ বা অচেতন নাশক কোন দ্রব্য ব্যবহার করেছে অপরাধীরা। তার সন্দেহের দৃষ্টি ছোট ভাই রবিউল ও কেয়া খাতুনের দিকে। তিনি আরও বলেন, শালিখা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন, খুব শীঘ্রই তিনি মামলা করবেন বলে জানান।

ঘটনার এব্যাপারে পিয়ারপুর এলাকার জোহরা বেগম, ইউসুফ ভূইয়া, হোসনে আরা, গোরাপান মিয়া সহ আরও বেশ কিছু লোকজন জানান, আমরা সকালে শুনলাম রবিউল ও শরিফুলদের বাড়িতে রাতে ডাকাতি হয়েছে। তবে আমরা এলাকাবাসীর কোন লোকজন রাতে ডাকাতির ঘটনা টের পায়নি।
এদিকে এলাকাবাসীর গোপন সূত্র থেকে জানা যায়, রবিউল ইসলাম পাটোয়ারী ও কেয়া খাতুন খুবই চালাক ও দুরন্তর ব্যক্তি। কিছু দিন আগেও দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে তুমুল ঝগড়াঝাটি ও পারিবারিক গোপন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো।

মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর দুপুর ২.৩০ টার সময় শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, দুই ভাইয়ের ভিতরে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা আছে এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ভিতরে অর্ন্তদন্ধের কারণে এই জাতীয় ঘটনা কেউ কোন পক্ষ করতে পারে। তবে বিষয়টি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, এরা আপন দুই ভাই একে অপরকে দোষারোপ করছে।


প্রিন্ট