ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আমাদের পশ্চাদগামিতা অনিবার্য হয় কেন ? Logo মাথিন ট্র‍্যাজেডি: ভালোবাসার এক করুণ পরিণতি Logo পরিবেশের জন্যে ঝুঁকি পাটকাঠি ছাই মিল বন্ধের দাবীতে মধুখালীতে মানববন্ধন Logo কুষ্টিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo ফরিদপুরে দুইদিন ব্যাপী রিপোর্ট রাইটিং প্রশিক্ষনের উদ্বোধন Logo পাংশা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo সালথায় সনদ জালিয়াতি ও ভুয়া নিয়োগে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষকের চাকরি Logo লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ Logo রাজাপুরে ৫৩ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা, অজ্ঞাত ১৫০
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মার ভাঙনে বিলীনের পথে দৌলতপুরের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ক্যাম্প ছাড়াও শত শত বসতিসহ সরকারী বেসরকারী স্থাপনা। অনেক আগেই নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার। যার ফলে সীমানা নির্ধারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিজিবিকে। এদিকে নতুন করে হুমকিতে আরো দুটি সীমানা পিলার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা হলেও কোন সুফল আসছেনা। তাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এখানকার মানুষ।

ভারত সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগরর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙনে বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার জনপদ গ্রাস করে চলেছে পদ্মা নদী। এখন ভাঙন থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থান করছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। আর ৪০ মিটার দূরে উদয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও দোকান -পাট, হাট-বাজার, মসজিদ- মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই বছরে নদী ভেঙ্গে এসেছে প্রায় দেড় কিলোমিটারের মতো। শত শত এক জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন মানুষ। ভাঙনে বারবার তারা নিজেদের বসতভিটা পিছিয়ে এনেছেন। আর এখন হুমকির মুখে পাড়েছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। এই ক্যাম্প না থাকলে নিরাপত্তাহীনতায় এখানে বসবাস করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিজিবি কর্তৃপক্ষও দাবি করছে স্থায়ী বাধ নির্মানের। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, শত শত একর জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এখানকার মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সিরাজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, নদী বেষ্টিত এই এলাকাসহ সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজন স্থায়ী বাধ নির্মানের। অনেক বছর আগেই নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার। যার কারনে মাঝ নদীতে সীমানা নির্ধারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিজিবিকে। তিনি আরো জানান,নতুন করে হুমকিতে পড়েছে আরো দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার।

এখনই ব্যবস্থা গস্খহণ না করলে এই উদয়নগর এলাকা রুরোপুরি নদীগর্ভে হানিয়ে যাবে বলে মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

 

স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেয়ার কথা জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, এই এলাকাসহ বিজিবি ক্যাম্প রক্ষায় প্রয়োজন স্থায়ী বাধ নির্মানের।এখনি স্থায়ী বাধ নির্মাণ সম্ভব না হলেও ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে দ্রুত সমস্যা নিরসনে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন এ আসনের সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশাহ ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাদের পশ্চাদগামিতা অনিবার্য হয় কেন ?

error: Content is protected !!

পদ্মার ভাঙনে বিলীনের পথে দৌলতপুরের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার

আপডেট টাইম : ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ক্যাম্প ছাড়াও শত শত বসতিসহ সরকারী বেসরকারী স্থাপনা। অনেক আগেই নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার। যার ফলে সীমানা নির্ধারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিজিবিকে। এদিকে নতুন করে হুমকিতে আরো দুটি সীমানা পিলার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা হলেও কোন সুফল আসছেনা। তাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এখানকার মানুষ।

ভারত সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগরর এলাকায় তীব্র নদী ভাঙনে বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার জনপদ গ্রাস করে চলেছে পদ্মা নদী। এখন ভাঙন থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থান করছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। আর ৪০ মিটার দূরে উদয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও দোকান -পাট, হাট-বাজার, মসজিদ- মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই বছরে নদী ভেঙ্গে এসেছে প্রায় দেড় কিলোমিটারের মতো। শত শত এক জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন মানুষ। ভাঙনে বারবার তারা নিজেদের বসতভিটা পিছিয়ে এনেছেন। আর এখন হুমকির মুখে পাড়েছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। এই ক্যাম্প না থাকলে নিরাপত্তাহীনতায় এখানে বসবাস করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিজিবি কর্তৃপক্ষও দাবি করছে স্থায়ী বাধ নির্মানের। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, শত শত একর জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এখানকার মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এবিষয়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সিরাজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, নদী বেষ্টিত এই এলাকাসহ সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজন স্থায়ী বাধ নির্মানের। অনেক বছর আগেই নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার। যার কারনে মাঝ নদীতে সীমানা নির্ধারনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিজিবিকে। তিনি আরো জানান,নতুন করে হুমকিতে পড়েছে আরো দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার।

এখনই ব্যবস্থা গস্খহণ না করলে এই উদয়নগর এলাকা রুরোপুরি নদীগর্ভে হানিয়ে যাবে বলে মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

 

স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেয়ার কথা জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, এই এলাকাসহ বিজিবি ক্যাম্প রক্ষায় প্রয়োজন স্থায়ী বাধ নির্মানের।এখনি স্থায়ী বাধ নির্মাণ সম্ভব না হলেও ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে দ্রুত সমস্যা নিরসনে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন এ আসনের সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশাহ ।


প্রিন্ট