কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শীঘ্রই শহরের মধ্যে চার লেনের রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। এই কারণেই ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর,গোডাউন মোড় পর্ষন্ত প্রায় পাঁচশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
রাস্তা প্রশস্ত করণের নিমিত্তে প্রথমেই ভেড়ামারা পৌর শহরে দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু করে ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্ষন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলছে চলবে।
বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে ১ তলা থেকে ২ তলা ভবনের পাশাপাশি পাকা-আধাপাকা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
দখলদার মুক্ত করার জন্য,১৯৭০ সালের ২৪ নং অধ্যাদেশের ৫(২)ধারায় দন্ডবিধি ও মাইনর ক্যাষ্টেস এর বিভিন্ন ধারায় বাংলাদেশ রেলওয়ে মালিকানাধীন ভুমি হতে অবৈধ স্থাপনা অপসারনে মোবাইল কোট পরি চালনা করা হয় ।
৯ অক্টোবর সোমবার দিনব্যপী অভিযান চালিয়ে ভেড়ামারা রেলওয়ে দক্ষিণ রেলগেটের কাছ থেকে শুরু করে বাস ষ্ট্যান্ড পর্যন্ত রেলের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শতাধিক দোকান ঘর উচ্ছেদ করে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)সকালে আবার শাপলা চত্বর থেকে শুরু কওে গোডাউন মোড় পর্যন্ত বুলডোজার দিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ভেড়ামারা শহর কে চার লেন রাস্তা করার লক্ষ্যে পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবীর টুটুলের এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছে এলাকাবাসী। চার লেন রাস্তা বাস্তবায়ন করার জন্য রেল ওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেড়ামারা উপেজলার চাঁদগ্রাম ও ভেড়ামরা মৌজায় বাংলাদেশ রেলওয়ে মালিকনাধীন ১,১৬০০ একর ভূমি ভেড়ামারা পৌরসভা স্নারক নং ল্যান্ড/পাকশী/দীর্ঘ মেয়াদী লীজ /ভেড়ামারা পৌরসভা /৮৭(১)২০২৩/৭৮৩ কে লীজ প্রদান করেন।এই জায়গা রেল ওয়ে কর্র্তৃপক্ষ মেয়র আনায়ারুর কবীর কে বুঝেদেন এবং অবৈধ দখর দারিত্বদের কে উচ্ছেদের জন্য রেল ওয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষর কাছে আবেদন করেন।
সরকারের উন্নয়ন ও চার লেন রাস্তা বাস্তবায়ন হোক, এই লক্ষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দোকানপাটের জন্য বরাদ্দকৃত লিজ বাতিল করে পৌরসভার অনুকূলে নতুন করে লিজ দেয় এবং পরবর্তী দখলদারদের দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৯ অক্টেবর পর্যন্ত সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়। এই সময়ের মধ্যে দখলদাররা নিজ নিজ মালামাল যেন সরিয়ে নেয় । তা না করলে এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৯ অক্টোবর সোমবার বুলডোজার দিয়ে পাকা স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেড়ামারা পৌরসভাকে তার লীজকৃত জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুজ্জামান জানান, কয়কেটি ধাপে উচ্ছদে কার্যক্রম চলব। ৯ অক্টোবর সোমবার ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে গোডাউন মোড় ও বক চত্বর পর্ষন্ত প্রায় ২শতাধকি দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান চলে। ১০ অক্টোবর সকাল থেকে ৫টা পর্যন্ত আবার কার্যক্রম চলবে।
উচ্ছেদকৃত দোকানদার সালাম ও মোশারফ গার্মেন্টস মালিক বলেন, দোকানপাট উচ্ছেদ করায় আমরা আজ রাস্তায় দাড়িয়েছি। বেশী করে সময় চাওয়া হলে তারা আমাদের কথা না শুনে বুলডোজার চালায়এবং দোকানের মালামালসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাররা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, অবধৈ স্থাপনা উচ্ছদেরে সিদ্ধান্তে আমরা এলাকাবাসী সঙ্গে আছি। সরকারের উন্নয়ন হোক এটা আমরা সবাই চাই। তবে দোকানঘর উচ্ছদ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ যেন না থাকে। চার লেন রাস্তার কাজ যাতে দ্রুত শুরু এবং শেষ করা হয়।
ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল জানান, ভেড়ামারা পৌরসভার ৩ নং জিকে ব্রীজ থেকে হিসনা নদী ব্রীজ পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়কটি প্রশস্তকরণের দাবী ছিলো জনগণের দীর্ঘদিনের। উক্ত রাস্তা ২ লেনের পরিবর্তে ৪ লেনে রূপান্তর কাজ করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে মালিকাধীন ভূমি ভেড়ামারা পৌরসভাকে লীজ দেয়। ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্ষন্ত দুই শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করে পৌরসভাকে তার লীজকৃত জায়গা বুঝিয়ে দেয়। ভেড়ামারায় শীঘ্রই ৪ লেন রাস্তার কাজ শুরু হবে।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে রেলওয়ে কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, জি আরপি পুলিশ ও ভেড়ামারা থানা পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট