নরসিংদির বেলাবতে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বেলাববাসি কে জিম্মি করে, অবৈধ ঘুষ নিয়ে যিনি সেরা সহকারি ভূমি কর্মকর্তার পুরস্কার পেয়েছেন; তিনি আবুল কালাম আজাদ বেলাব সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা।
কথায় আছে, পাপ ছাড়েনা বাপকে। তাইতো অবশেষে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শেখ ওসমান গনি নামের এক ভূক্তভিগী। নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেলাব টেক পাড়া গ্রামের শেখ ওসমান গনি তার খরিদকৃত সম্পত্তির নামজারি জমা ভাগ করে অফলাইনে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করেন। বর্তমানে ভূমি সেবা ডিজিটাল হওয়ায় তিনি অনলাইনে খাজনার আবেদন করেন। কিন্তু বেলাব সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ না করে আবেদন করায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। এবং ওসমান গনির প্রেরিত লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ও খারিজ বাতিলের হুমকি দেন।
বিষয়টি বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা জান্নাত তাহেরার বিবেচনায় দিলে তিনি বেলাব সদর ভূমি সহকারি কমিশনার (ভূমি ) সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নায়েবকে ঠিকমতো কাজটা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি নায়েব আবুল কালাম আজাদ। দশ দিন ধরে তিনি কাজটি আটকে রেখে বিশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ১০০০ টাকার বিশটা নোট তার পকেটে পেয়ে তবেই তিনি আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়,খাদ্য অধিদপ্তরে চাকুরী করে রাকিব নামক এক লোকের মাধ্যমে এসিল্যান্ড ঘুষ নিয়ে থাকেন।
জনমণে প্রশ্ন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিল্যান্ড যদি সৎ হতেন তাহলে এই কাজটায় কি টাকা লাগার কথা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, অবৈধ এই ঘুষ বাণিজ্যের অর্থ এসিলেন্ড, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবাই বাগ-ভাটোয়ারা করে খায়। ইতিমধ্যে নায়েব আবুল কালাম আজাদকে এ বিষয়ে শোকজ করার তথ্য পাওয়া গেছে।
সঠিকভাবে বিষয়টির তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা বেলাববাসীর। আবুল কালাম আজাদকে তার দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করার দাবি সচেতন মহলের।
প্রিন্ট