ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন Logo ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক Logo মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার Logo রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত Logo সদরপুরে গভীর রাতে গোয়াল ঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo ভাসানচর দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হাতিয়ায় ৭৭ হাজার হেক্টরে আমন চাষে ইউরিয়া বরাদ্দ ১ হাজার মেঃটনঃ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহতের আশঙ্কা

-ছবিঃ প্রতীকী।

নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রতি বছর  আমন মৌসুমে ইউরিয়া সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে। রোপা আমন ৩-৪ সপ্তাহ পরবর্তী সাধারণত গোছায় শিকড় বিস্তারের এ সময়টাতে সার ছিটানো আবশ্যক হয়ে পড়ে। ঠিক ওই সময়ে হাতিয়ার কৃষকেরা সার সঙ্কটে পড়ে। স্থানীয় বাজার গুলোতে ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সারের অপর্যাপ্ততায় কৃষকের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে। সময়মত সার প্রয়োগের অভাবে ব্যাহত হতে পারে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
আমন চাষে জমির পরিমানের দিক থেকে নোয়াখালী জেলার শীর্ষে হাতিয়ার অবস্থান।অথচ আমন মৌসুমে হাতিয়া উপজেলার কৃষকেরা সার সঙ্কটে ভুগছে। সরকারি তথ্য মতে হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৭৭ হাজার ৩৩৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়ে থাকে।সেই মোতাবেক অক্টোবর মাসের হাতিয়া উপজেলা সার বরাদ্ধ পেয়েছে ৫০০ মেঃ টঃ।ছোট বড় হাট বাজারে গিয়ে কৃষকেরা সার না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করছেন। অনেকে অভিযোগ করেন,কিছু দোকানে সঙ্কট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজকে বাজারে সার সঙ্কট ও বেশী দামে বিক্রির  প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অক্টোবর মাসে ৫০০ মেঃ টঃ সার আসলেও আরো অতিরিক্ত ৩০০ মেঃ টঃ সার ইতোমধ্যে হাতিয়াতে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যা দু’একদিনের মধ্যে হাতিয়া এসে পড়বে।
জানা যায়, হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৭৭ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে আমন চাষ হলেও এর বিপরীতে সেপ্টেম্বরে বরাদ্ধ হয় ৭৭১ মে.টন এবং অক্টোবরের বরাদ্ধ হয় ৫০০ মে.টন ইউরিয়া সার। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। অথচ পার্শ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলায় ৩৬ হাজার ৮৭০ হেক্টর আমন চাষের বিপরীতে সেপ্টেম্বর মাসে ৭০০ মে.টন এবং অক্টোবর মাসে ৪৯০ মে.টন ইউরিয়া সার বরাদ্ধ পায়। এছাড়াও জেলার অপরাপর উপজেলাগুলোতে আমন তেমন একটা চাষ না হলেও সার কিন্তু বরাদ্ধ দিয়ে দেওয়া হয়।
কৃষি তথ্যে জানা যায়, আমন চাষের জন্য হেক্টর প্রতি ন্যুনতম ০.১৫ মেট্রিক টন বা ১৫০ কেজি বা ৩ বস্তা ইউরিয়া সার প্রয়োজন। সে হিসেবে হাতিয়াতে আমন চাষকৃত জমির পরিমাণ ৭৭,৩৩৪ হেক্টর ঢ ০.১৫ মেট্রিকটন =১১৬০০.১ মেট্রিক টন সারের দরকার পড়ে। কিন্তু হাতিয়া উপজেলাতে সেপ্টেম্বরে ৭৭১ মেঃ টঃ এবং অক্টোবরে ৫০০ মেঃ টঃ বরাদ্ধ করে জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটি। ফলে চাষকৃত জমির পরিমাণ অনুযায়ী ভরা মৌসুমে বাজারে গিয়ে কৃষকেরা সার সঙ্কটের মুখে পড়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
নোয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মো: শহীদুল হকের মুঠোফোনে হাতিয়ায় ইউরিয়া সার সঙ্কট ও আমনের আবাদকৃত জমির পরিমাণের সাথে সার বরাদ্ধ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা এবং অন্যান্য সমস্যা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সঙ্কট বেশীদিন থাকবেনা, দু-চারদিনের মধ্যে নতুন আরো প্রায় ৫০০মে. টন সার ঢুকবে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে অপেক্ষায় রয়েছে। যেভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে ধান গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন

error: Content is protected !!

হাতিয়ায় ৭৭ হাজার হেক্টরে আমন চাষে ইউরিয়া বরাদ্দ ১ হাজার মেঃটনঃ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহতের আশঙ্কা

আপডেট টাইম : ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রতি বছর  আমন মৌসুমে ইউরিয়া সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে। রোপা আমন ৩-৪ সপ্তাহ পরবর্তী সাধারণত গোছায় শিকড় বিস্তারের এ সময়টাতে সার ছিটানো আবশ্যক হয়ে পড়ে। ঠিক ওই সময়ে হাতিয়ার কৃষকেরা সার সঙ্কটে পড়ে। স্থানীয় বাজার গুলোতে ভরা মৌসুমে ইউরিয়া সারের অপর্যাপ্ততায় কৃষকের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে। সময়মত সার প্রয়োগের অভাবে ব্যাহত হতে পারে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
আমন চাষে জমির পরিমানের দিক থেকে নোয়াখালী জেলার শীর্ষে হাতিয়ার অবস্থান।অথচ আমন মৌসুমে হাতিয়া উপজেলার কৃষকেরা সার সঙ্কটে ভুগছে। সরকারি তথ্য মতে হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৭৭ হাজার ৩৩৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়ে থাকে।সেই মোতাবেক অক্টোবর মাসের হাতিয়া উপজেলা সার বরাদ্ধ পেয়েছে ৫০০ মেঃ টঃ।ছোট বড় হাট বাজারে গিয়ে কৃষকেরা সার না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করছেন। অনেকে অভিযোগ করেন,কিছু দোকানে সঙ্কট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজকে বাজারে সার সঙ্কট ও বেশী দামে বিক্রির  প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অক্টোবর মাসে ৫০০ মেঃ টঃ সার আসলেও আরো অতিরিক্ত ৩০০ মেঃ টঃ সার ইতোমধ্যে হাতিয়াতে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যা দু’একদিনের মধ্যে হাতিয়া এসে পড়বে।
জানা যায়, হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৭৭ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে আমন চাষ হলেও এর বিপরীতে সেপ্টেম্বরে বরাদ্ধ হয় ৭৭১ মে.টন এবং অক্টোবরের বরাদ্ধ হয় ৫০০ মে.টন ইউরিয়া সার। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। অথচ পার্শ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলায় ৩৬ হাজার ৮৭০ হেক্টর আমন চাষের বিপরীতে সেপ্টেম্বর মাসে ৭০০ মে.টন এবং অক্টোবর মাসে ৪৯০ মে.টন ইউরিয়া সার বরাদ্ধ পায়। এছাড়াও জেলার অপরাপর উপজেলাগুলোতে আমন তেমন একটা চাষ না হলেও সার কিন্তু বরাদ্ধ দিয়ে দেওয়া হয়।
কৃষি তথ্যে জানা যায়, আমন চাষের জন্য হেক্টর প্রতি ন্যুনতম ০.১৫ মেট্রিক টন বা ১৫০ কেজি বা ৩ বস্তা ইউরিয়া সার প্রয়োজন। সে হিসেবে হাতিয়াতে আমন চাষকৃত জমির পরিমাণ ৭৭,৩৩৪ হেক্টর ঢ ০.১৫ মেট্রিকটন =১১৬০০.১ মেট্রিক টন সারের দরকার পড়ে। কিন্তু হাতিয়া উপজেলাতে সেপ্টেম্বরে ৭৭১ মেঃ টঃ এবং অক্টোবরে ৫০০ মেঃ টঃ বরাদ্ধ করে জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটি। ফলে চাষকৃত জমির পরিমাণ অনুযায়ী ভরা মৌসুমে বাজারে গিয়ে কৃষকেরা সার সঙ্কটের মুখে পড়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
নোয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মো: শহীদুল হকের মুঠোফোনে হাতিয়ায় ইউরিয়া সার সঙ্কট ও আমনের আবাদকৃত জমির পরিমাণের সাথে সার বরাদ্ধ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা এবং অন্যান্য সমস্যা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সঙ্কট বেশীদিন থাকবেনা, দু-চারদিনের মধ্যে নতুন আরো প্রায় ৫০০মে. টন সার ঢুকবে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে অপেক্ষায় রয়েছে। যেভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে ধান গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রিন্ট