ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীতে অন্যের নামের চাল তোলেন ইউপি সদস্য

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অন্য নারীর নামে উপকারভোগী কার্ড করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডবিøউবি) কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে খাচ্ছেন এক নারী ইউপি সদস্য।

 

উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লিপি বেগমের বিরুদ্ধে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী নারীর স্বামী।

 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর মামুন মোল্যা ১০ টাকা মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন উপকারভোগী। গত বছরের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে তার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ডটি বাতিল হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের নামে ভিডবিøউবি কর্মসূচীর একটি উপকারভোগী কার্ড হয়েছে। যে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ভিডবিøউবি কর্মসূচীর কার্ড হলেও, চাল না পাওয়ায় পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নেন মামুন মোল্যা। জানতে পারেন ৫নং ওয়ার্ডের মাস্টার রোলের ৭৭ নম্বর ক্রমিকে তার স্ত্রীর নাম রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারী মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত উত্তোলন করেছেন। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দেওয়া এ চাল ইউপি সদস্য লিপি বেগম নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।

 

ভূক্তভোগী রাবেয়া বেগম (৫০) বলেন, ‘আমার ভিডবিøউবি কর্মসূচীর চালের তালিকায় নাম আছে, তা আমি জানতাম না। কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার নামে কার্ড আছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যাই। সেখান থেকে আমাকে বলে আপনার নামের চাল মহিলা মেম্বার নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমার স্বামী ইউএনও স্যারের কাছে একটি অভিযোগ করেছে।’

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিপি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রাবেয়া বেগমের নামের কার্ডের চাল উত্তোলন করেছি। তবে নিজের টিপসই দিয়ে নয়, অন্য কার্ডধারীদের দিয়ে চাল উত্তোলন করেছি। আমার এক ভাই কয়েক বছর আগে পানিতে ডুবে মারা গেছে। তার একটা মেয়ে রয়েছে। তাকে ওই চাল খাওয়াই।’

 

এ বিষয়ে রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলটন মিয়া বলেন, ‘আট মাসে কেউ আমাকে বলিনি। এই শুনলাম ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি এলাকায় এসে সমাধান করে দেব। ঘটনা সত্য হলে ৮ মাসের চাল ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমি বাকি কথা ইউনিয়ন পরিষদে এসে বলি। ফোনে এসব কথা বলবো না।’

 

 

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কাশিয়ানীতে অন্যের নামের চাল তোলেন ইউপি সদস্য

আপডেট টাইম : ০৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
লিয়াকত হোসেন লিংকন, স্টাফ রিপোর্টার :

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অন্য নারীর নামে উপকারভোগী কার্ড করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডবিøউবি) কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে খাচ্ছেন এক নারী ইউপি সদস্য।

 

উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লিপি বেগমের বিরুদ্ধে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী নারীর স্বামী।

 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর মামুন মোল্যা ১০ টাকা মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন উপকারভোগী। গত বছরের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে তার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ডটি বাতিল হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের নামে ভিডবিøউবি কর্মসূচীর একটি উপকারভোগী কার্ড হয়েছে। যে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ভিডবিøউবি কর্মসূচীর কার্ড হলেও, চাল না পাওয়ায় পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নেন মামুন মোল্যা। জানতে পারেন ৫নং ওয়ার্ডের মাস্টার রোলের ৭৭ নম্বর ক্রমিকে তার স্ত্রীর নাম রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারী মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত উত্তোলন করেছেন। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দেওয়া এ চাল ইউপি সদস্য লিপি বেগম নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।

 

ভূক্তভোগী রাবেয়া বেগম (৫০) বলেন, ‘আমার ভিডবিøউবি কর্মসূচীর চালের তালিকায় নাম আছে, তা আমি জানতাম না। কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার নামে কার্ড আছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যাই। সেখান থেকে আমাকে বলে আপনার নামের চাল মহিলা মেম্বার নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমার স্বামী ইউএনও স্যারের কাছে একটি অভিযোগ করেছে।’

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লিপি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রাবেয়া বেগমের নামের কার্ডের চাল উত্তোলন করেছি। তবে নিজের টিপসই দিয়ে নয়, অন্য কার্ডধারীদের দিয়ে চাল উত্তোলন করেছি। আমার এক ভাই কয়েক বছর আগে পানিতে ডুবে মারা গেছে। তার একটা মেয়ে রয়েছে। তাকে ওই চাল খাওয়াই।’

 

এ বিষয়ে রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলটন মিয়া বলেন, ‘আট মাসে কেউ আমাকে বলিনি। এই শুনলাম ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি এলাকায় এসে সমাধান করে দেব। ঘটনা সত্য হলে ৮ মাসের চাল ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমি বাকি কথা ইউনিয়ন পরিষদে এসে বলি। ফোনে এসব কথা বলবো না।’

 

 

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


প্রিন্ট