ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক Logo মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার Logo রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত Logo সদরপুরে গভীর রাতে গোয়াল ঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo ভাসানচর দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কোটচাঁদপুর পৌরসভা

মেয়রের দ্বায়িত্বভার গ্রহনের পরই বকেয়া বেতন পেলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মেয়রের দ্বায়িত্বভার গ্রহনের দুই মাসে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ থেকে ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ শুরু করেছেন বর্তমান মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

এলপিআর এ যাওয়া কর্মচারীর বন্ধ ভাতা চালু করেছেন। শুরু করেছেন অবহেলিত রাস্তা ও ড্রেনেজ উন্নয়নের কাজ। এমন সাহসী উদ্যোগ নিয়ে পৌরবাসির সেবা শুরু করেছেন চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে থাকা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভোটে জয়ী হয়ে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন সেলিম। এর আগে বিগত পাঁচ বছর মেয়র হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে জিরে। মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে দ্বায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা অনিয়মিত হয়ে যায়।

এভাবে চলতে চলতে ২৫ থেকে ৪০ মাসের বেতন ভাতা বকেয়া থেকে যায়। ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে থাকে পৌরসভার ৬৫ জন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটি কোটি টাকা বেতন ভাতা বাকি রেখে নির্বাচন করেন সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে।

ফলে ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে ভরাডুবি হয় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে জিরের। তার সময়ে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক সেবার মান ভেঙ্গে পড়ে। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। বেশির ভাগ পাড়া মহল্লায় পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। রাতে অধিকাংশ সড়কে বাতি জ¦লত না। তারপরও নাগরিকরা নিয়মিতই ট্যাক্স দিয়েছেন।

১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এক সময়ের ছোট কলকাতা খ্যাত এ পৌরসভায় স্থায়ী ৩৩ জন ও অস্থায়ী ৩২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। এদের প্রতিমাসে বেতন ভাতা বাবদ ব্যয় হয় ১৩ লক্ষাধীক টাকার মত। কিন্তু প্রতিমাসে এর থেকে বেশি বা সমপরিমাণ আয় করলেও প্রাচীন এ পৌরসভাটির এত টাকা বাকি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটচাদপুর পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের মাসিক আয় ১৫ লক্ষাধীন টাকা, সাথে সরকারী অনুদান আসে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে লাগে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এমন অবস্থায় আমাদের বেতন বকেয়া থাকার কথা নয়। কিন্তু মেয়র সাহেব এমন কেন করতেন তা বোধগম্য নয়। ইতোপূর্বের কোন মেয়রের সময় এত খারাপ পরিবেশ হয়নি বলেও যোগ করেন তিনি।

এ নিয়ে সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলাম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এরকম বেতন ভাতা বাকি দেশের প্রায় সব পৌরসভায় রয়েছে।

ফান্ড থাকা সত্তেও এমন পরিবেশ কেন জানতে চাইলে স্বশরীরে এসে লিখিত দিয়ে তথ্য নিয়ে যান বলে ফোন কেটে দেন তিনি। মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম জানান, প্রথম শ্রেণির নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে পৌরবাসির সহযোগীতা প্রয়োজন।

ইতোমধ্যে পৌরসভার মধ্যে দুইটি রাস্তা ও কয়েকটি ড্রেনেজের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া আমি আধুনিক সুযোগ সুবিধা রেখে পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনায় রয়েছে। ইতোমধ্যে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ শুরু করেছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

error: Content is protected !!

কোটচাঁদপুর পৌরসভা

মেয়রের দ্বায়িত্বভার গ্রহনের পরই বকেয়া বেতন পেলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

আপডেট টাইম : ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ :

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মেয়রের দ্বায়িত্বভার গ্রহনের দুই মাসে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ থেকে ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ শুরু করেছেন বর্তমান মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

এলপিআর এ যাওয়া কর্মচারীর বন্ধ ভাতা চালু করেছেন। শুরু করেছেন অবহেলিত রাস্তা ও ড্রেনেজ উন্নয়নের কাজ। এমন সাহসী উদ্যোগ নিয়ে পৌরবাসির সেবা শুরু করেছেন চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে থাকা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভোটে জয়ী হয়ে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন সেলিম। এর আগে বিগত পাঁচ বছর মেয়র হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে জিরে। মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে দ্বায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা অনিয়মিত হয়ে যায়।

এভাবে চলতে চলতে ২৫ থেকে ৪০ মাসের বেতন ভাতা বকেয়া থেকে যায়। ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে থাকে পৌরসভার ৬৫ জন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটি কোটি টাকা বেতন ভাতা বাকি রেখে নির্বাচন করেন সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে।

ফলে ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে ভরাডুবি হয় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে জিরের। তার সময়ে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক সেবার মান ভেঙ্গে পড়ে। রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। বেশির ভাগ পাড়া মহল্লায় পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। রাতে অধিকাংশ সড়কে বাতি জ¦লত না। তারপরও নাগরিকরা নিয়মিতই ট্যাক্স দিয়েছেন।

১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এক সময়ের ছোট কলকাতা খ্যাত এ পৌরসভায় স্থায়ী ৩৩ জন ও অস্থায়ী ৩২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। এদের প্রতিমাসে বেতন ভাতা বাবদ ব্যয় হয় ১৩ লক্ষাধীক টাকার মত। কিন্তু প্রতিমাসে এর থেকে বেশি বা সমপরিমাণ আয় করলেও প্রাচীন এ পৌরসভাটির এত টাকা বাকি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটচাদপুর পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের মাসিক আয় ১৫ লক্ষাধীন টাকা, সাথে সরকারী অনুদান আসে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে লাগে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এমন অবস্থায় আমাদের বেতন বকেয়া থাকার কথা নয়। কিন্তু মেয়র সাহেব এমন কেন করতেন তা বোধগম্য নয়। ইতোপূর্বের কোন মেয়রের সময় এত খারাপ পরিবেশ হয়নি বলেও যোগ করেন তিনি।

এ নিয়ে সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলাম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এরকম বেতন ভাতা বাকি দেশের প্রায় সব পৌরসভায় রয়েছে।

ফান্ড থাকা সত্তেও এমন পরিবেশ কেন জানতে চাইলে স্বশরীরে এসে লিখিত দিয়ে তথ্য নিয়ে যান বলে ফোন কেটে দেন তিনি। মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম জানান, প্রথম শ্রেণির নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে পৌরবাসির সহযোগীতা প্রয়োজন।

ইতোমধ্যে পৌরসভার মধ্যে দুইটি রাস্তা ও কয়েকটি ড্রেনেজের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া আমি আধুনিক সুযোগ সুবিধা রেখে পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনায় রয়েছে। ইতোমধ্যে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ শুরু করেছি।


প্রিন্ট