ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনায় ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী গোদাগাড়ীতে শ্রীপাঠ খেতুরী ধার্মের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, ট্রাস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবি Logo কালিয়াকৈরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo ভেড়ামারায় ৪টি ইটভাটায় অভিযান! ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় Logo পাংশায় ৫৩তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজাপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা Logo রাজাপুর বাশার হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘন্টার মাথায় ২ আসামী আটক ও ভ্যান উদ্ধার Logo আ’ লীগের স্টাইলে লুটপাটের রাজনীতি করছেন বিএনপির দুই নেতা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীতে উপসচিবের দাপটে অতিষ্ঠ একটি পরিবার

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের উপ-সচিব মোসা. রোকেয়া পারভীনের ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা মামলায় হয়রানী ও জমি দখলের চেষ্টায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি পরিবার। মাকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও হুমকি-ধামকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে ওই উপসচিবের বিরুদ্ধে।

 

এ ব্যাপারে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভূক্তভোগী মো. মানিক সরদার বলেন, আমার বাবা ১৯৪০ সালে ৯০ নং ঘোনাপাড়া মৌজার এসএ ২৪৫ নং খতিয়ানের ২৪০৯ নং দাগের ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ঢাকা থাকলেও মা বাড়ীতেই থাকেন। ফলে বাড়ীতে না থাকার সুযোগে উপ-সচিব মোসা. রোকেয়া পারভীনের মা পান্না রহমান প্রায় ৬ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। পরে জমির মালিকানা নিতে ২০১৮ সাল থেকে আমাদের নামে ১১টি মামলা দেন। এর মধ্যে ৯টি মামলার রায় আদালত আমাদের পক্ষে দিয়েছেন।

 

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর জমি দখলে নিতে পান্না রহমান আদালতে মামলা করেন। মামলার সমন নোটিশে অন্য লোক দিয়ে স্বাক্ষর করে আমার ভাই ও আমার মায়ের নামে সমন জারি দেখানো হয়েছে। এতে আমরা কিছু না জানলেও আদালত গত ০৭.০৪.২২ ইং তারিখে একতরফা রায় ও ১৩.০৪.২২ ইং তারিখে ডিগ্রির আদেশ দেন। একতরফা রায় ও ডিগ্রিমূলে পান্না রহমান আদালতে দখল জারির মামলা করেন। কিন্তু দখল জারি মামলার কোন নোটিশ আমরা পাইনি। মামলা সম্পর্কে আমরা কিছু না জানলেও ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার রায় নিয়ে আমাদের জমির ওপর থাকা ওয়ালসেট টিনের দুটি ঘর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। আমার বৃদ্ধ মা বাড়িতে একা থাকায় ঘরের কোন মালামাল বের করতে পারেনি। উপসচিব রোকেয়া পারভীন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন করে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিছিন্ন করে দেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে করা হয়েছে।

 

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, উপ-সচিব রোকেয়া পারভীন ফোনে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং তার মা পান্না রহমানকে দিয়ে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলছে। প্রশাসন ও পুলিশের কথা বলে আমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি। উপসচিব রোকেয়া পারভীনের পরিবারের মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানী থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ইয়ারুন্নেছা, হানিফ সরদার, শাবানা বেগমসহ ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপসচিব রোকেয়া পারভীনের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি ‘মিটিং এ আছি, পরে কথা বলবো।’ বলেই সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

কাশিয়ানীতে উপসচিবের দাপটে অতিষ্ঠ একটি পরিবার

আপডেট টাইম : ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সাকিব হোসেন, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের উপ-সচিব মোসা. রোকেয়া পারভীনের ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা মামলায় হয়রানী ও জমি দখলের চেষ্টায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি পরিবার। মাকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও হুমকি-ধামকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে ওই উপসচিবের বিরুদ্ধে।

 

এ ব্যাপারে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভূক্তভোগী মো. মানিক সরদার বলেন, আমার বাবা ১৯৪০ সালে ৯০ নং ঘোনাপাড়া মৌজার এসএ ২৪৫ নং খতিয়ানের ২৪০৯ নং দাগের ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ঢাকা থাকলেও মা বাড়ীতেই থাকেন। ফলে বাড়ীতে না থাকার সুযোগে উপ-সচিব মোসা. রোকেয়া পারভীনের মা পান্না রহমান প্রায় ৬ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। পরে জমির মালিকানা নিতে ২০১৮ সাল থেকে আমাদের নামে ১১টি মামলা দেন। এর মধ্যে ৯টি মামলার রায় আদালত আমাদের পক্ষে দিয়েছেন।

 

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর জমি দখলে নিতে পান্না রহমান আদালতে মামলা করেন। মামলার সমন নোটিশে অন্য লোক দিয়ে স্বাক্ষর করে আমার ভাই ও আমার মায়ের নামে সমন জারি দেখানো হয়েছে। এতে আমরা কিছু না জানলেও আদালত গত ০৭.০৪.২২ ইং তারিখে একতরফা রায় ও ১৩.০৪.২২ ইং তারিখে ডিগ্রির আদেশ দেন। একতরফা রায় ও ডিগ্রিমূলে পান্না রহমান আদালতে দখল জারির মামলা করেন। কিন্তু দখল জারি মামলার কোন নোটিশ আমরা পাইনি। মামলা সম্পর্কে আমরা কিছু না জানলেও ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার রায় নিয়ে আমাদের জমির ওপর থাকা ওয়ালসেট টিনের দুটি ঘর ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। আমার বৃদ্ধ মা বাড়িতে একা থাকায় ঘরের কোন মালামাল বের করতে পারেনি। উপসচিব রোকেয়া পারভীন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন করে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিছিন্ন করে দেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে করা হয়েছে।

 

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, উপ-সচিব রোকেয়া পারভীন ফোনে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং তার মা পান্না রহমানকে দিয়ে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলছে। প্রশাসন ও পুলিশের কথা বলে আমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি। উপসচিব রোকেয়া পারভীনের পরিবারের মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানী থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ইয়ারুন্নেছা, হানিফ সরদার, শাবানা বেগমসহ ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপসচিব রোকেয়া পারভীনের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি ‘মিটিং এ আছি, পরে কথা বলবো।’ বলেই সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।


প্রিন্ট