ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় অনিবন্ধিত সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নে বাগেরহাট বাজার নামক স্থানে অনিবন্ধিত এনজিওর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি ও সমাজে কলহ সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে মাগুরা জেলা সমবায় সমিতির কার্যালয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল বাশার মাগুরা সদর। ঐ ভুক্তভোগী, অনিবন্ধিত এনজিও বেরইল সার্বিক গ্রাম সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, দেশদ্রোহীতা জনবিদ্বেষী কার্যকলাপ ও সমাজে মারামারি, ক্ষুদ্র ঋণ নামের নিরব চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন। তিনি ৩০/৮/২৩ প্রতিকার চেয়ে জেলা সমবায় কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতা সদস্য নং-২৫ ছাবিয়া বেগম বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে অল্প কিছু টাকা নিয়েছিলাম এই অফিস থেকে। মূল টাকাসহ তাদের লভ্যাংশ পরিশোধ করলেও বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে আরও টাকা দাবি করে। টাকা পরিশোধের পর ও তাদের থেকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
যদিও এনজিওর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কর্ম হলো এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা’র কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধনের জন্য স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে,আত্ননির্ভরশীল সুখী ও সমৃদ্ধশালী অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠন করা। এনজিও হচ্ছে,অরাজনৈতিক, অলাভজনক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সেচ্ছাসেবী একটি সংস্থা। এই সংস্থা প্রতিবন্ধী, কৃষক, শ্রমিক,মজুর, ছাত্র, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক তথা সর্ব শ্রেণীর লোক নিয়ে গঠিত হবে এবং সর্ব শ্রেণীর উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
 অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নিবন্ধন বা অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনাকারী একাধিক এনজিও রয়েছে মাগুরায় আর এ সকল প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই হচ্ছে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক টাকা আয় করা। অনিবন্ধিত এনজিও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অপ-ক্ষমতার স্বীকার সুবিধাভোগীরা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকা তুলে নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে  অনেক ঘটনাও ঘটেছে এ জেলায়। উন্নয়নের দুটি শক্তিশালী মাধ্যম হচ্ছে নারী ও পুরুষ। কিন্তু আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের কর্মকাণ্ডের প্রকৃত মূল্যায়ন করা হয় না। বর্তমানে সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে মানুষজন ধীরে ধীরে নারীদের ক্ষমতায়নের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যেমন- ক্ষুদ্র ঋণ, নারী শিক্ষার বিকাশ, কুসংস্কার দূরীকরণ, জন্মহার হ্রাস,
নারী নির্যাতন হ্রাস,আত্মনির্ভরশীল ইত্যাদি। তবে এ সকলের বালাই নেই এ এনজিও গুলোতে এদের মুখ্য উদ্দেশ্য একটা। কিভাবে স্বল্পবিনিয়োগে অধিক টাকা উপার্জন করে ঘরে তোলা যায়। এক্ষেত্রে গ্রাহক কিছুটা কাল বিলম্ব করলেই তাদেরকে হামলা মামলায় জড়িয়ে ফেলেন এ সকল দুষ্কৃতীর এনজিও মালিকপক্ষ। অধিকাংশ দেখা যায় ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও একাধিক ব্যাংকের চেক সংরক্ষণ করে এনজিও মালিক পক্ষ। কিস্তি দিতে একটু এদিক সেদিক হলেই উক্ত চেকগুলো নিয়ে মামলায় জড়িয়ে ফেলেন ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদেরকে।
তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত জানতে উপজেলা সমবায় অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা বিরাজ কুন্ডু বলেন, রাজস্ব ফাঁকি সহ নানান অভিযোগ এনে এক ভুক্তভোগী জেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পত্র জেলা থেকে উপজেলায় এসে পৌঁছেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমরা ইতিমধ্যে গতকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছি অচিরেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এ বিষয় নিশ্চিত জানতে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বেরইল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির এনজিও এর মালিক আবু বক্কর সিদ্দিকের সাক্ষাৎ কারে তিনি বলেন, এনজিও আবার নিবন্ধন লাগে নাকি। যতসব সরকারি আমলাদের টাকা খাওয়ার ধান্দা ছাড়া আর কিছু না। উপজেলা কর্মকর্তা তদন্তে আসছে যা ইচ্ছে তাই করে করুক আমি কোন নিবন্ধন নিব না এর আগে আমার কাছ থেকে তারা ঘুষ খেয়েছে আমি আর কোন নিবন্ধন নিব না।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

মাগুরায় অনিবন্ধিত সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মোঃ ফারুখ আহমেদ, স্টার্ফ রিপোর্টার :
মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নে বাগেরহাট বাজার নামক স্থানে অনিবন্ধিত এনজিওর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি ও সমাজে কলহ সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে মাগুরা জেলা সমবায় সমিতির কার্যালয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল বাশার মাগুরা সদর। ঐ ভুক্তভোগী, অনিবন্ধিত এনজিও বেরইল সার্বিক গ্রাম সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, দেশদ্রোহীতা জনবিদ্বেষী কার্যকলাপ ও সমাজে মারামারি, ক্ষুদ্র ঋণ নামের নিরব চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন। তিনি ৩০/৮/২৩ প্রতিকার চেয়ে জেলা সমবায় কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতা সদস্য নং-২৫ ছাবিয়া বেগম বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে অল্প কিছু টাকা নিয়েছিলাম এই অফিস থেকে। মূল টাকাসহ তাদের লভ্যাংশ পরিশোধ করলেও বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে আরও টাকা দাবি করে। টাকা পরিশোধের পর ও তাদের থেকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
যদিও এনজিওর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কর্ম হলো এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা’র কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধনের জন্য স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে,আত্ননির্ভরশীল সুখী ও সমৃদ্ধশালী অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠন করা। এনজিও হচ্ছে,অরাজনৈতিক, অলাভজনক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সেচ্ছাসেবী একটি সংস্থা। এই সংস্থা প্রতিবন্ধী, কৃষক, শ্রমিক,মজুর, ছাত্র, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক তথা সর্ব শ্রেণীর লোক নিয়ে গঠিত হবে এবং সর্ব শ্রেণীর উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
 অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নিবন্ধন বা অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনাকারী একাধিক এনজিও রয়েছে মাগুরায় আর এ সকল প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই হচ্ছে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক টাকা আয় করা। অনিবন্ধিত এনজিও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অপ-ক্ষমতার স্বীকার সুবিধাভোগীরা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকা তুলে নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে  অনেক ঘটনাও ঘটেছে এ জেলায়। উন্নয়নের দুটি শক্তিশালী মাধ্যম হচ্ছে নারী ও পুরুষ। কিন্তু আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের কর্মকাণ্ডের প্রকৃত মূল্যায়ন করা হয় না। বর্তমানে সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে মানুষজন ধীরে ধীরে নারীদের ক্ষমতায়নের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যেমন- ক্ষুদ্র ঋণ, নারী শিক্ষার বিকাশ, কুসংস্কার দূরীকরণ, জন্মহার হ্রাস,
নারী নির্যাতন হ্রাস,আত্মনির্ভরশীল ইত্যাদি। তবে এ সকলের বালাই নেই এ এনজিও গুলোতে এদের মুখ্য উদ্দেশ্য একটা। কিভাবে স্বল্পবিনিয়োগে অধিক টাকা উপার্জন করে ঘরে তোলা যায়। এক্ষেত্রে গ্রাহক কিছুটা কাল বিলম্ব করলেই তাদেরকে হামলা মামলায় জড়িয়ে ফেলেন এ সকল দুষ্কৃতীর এনজিও মালিকপক্ষ। অধিকাংশ দেখা যায় ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও একাধিক ব্যাংকের চেক সংরক্ষণ করে এনজিও মালিক পক্ষ। কিস্তি দিতে একটু এদিক সেদিক হলেই উক্ত চেকগুলো নিয়ে মামলায় জড়িয়ে ফেলেন ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদেরকে।
তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত জানতে উপজেলা সমবায় অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা বিরাজ কুন্ডু বলেন, রাজস্ব ফাঁকি সহ নানান অভিযোগ এনে এক ভুক্তভোগী জেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পত্র জেলা থেকে উপজেলায় এসে পৌঁছেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমরা ইতিমধ্যে গতকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছি অচিরেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এ বিষয় নিশ্চিত জানতে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বেরইল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির এনজিও এর মালিক আবু বক্কর সিদ্দিকের সাক্ষাৎ কারে তিনি বলেন, এনজিও আবার নিবন্ধন লাগে নাকি। যতসব সরকারি আমলাদের টাকা খাওয়ার ধান্দা ছাড়া আর কিছু না। উপজেলা কর্মকর্তা তদন্তে আসছে যা ইচ্ছে তাই করে করুক আমি কোন নিবন্ধন নিব না এর আগে আমার কাছ থেকে তারা ঘুষ খেয়েছে আমি আর কোন নিবন্ধন নিব না।

প্রিন্ট