মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের তানিয়া ইট ভাটার সাথে ধানের জমির মাঠে মানুষের দ্বারা ছাগল ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ছাগলের মালিক, শতখালী (শিকদার পাড়া) গ্রামের মৃত রাজ আলীর পুত্র নাজমুল জানান, গত শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর অনুমান দুপুর ১২ টার সময় বাড়ে মোন্তাজ (৬০) নামের এক ব্যক্তি আমার পোষা প্রাণী কালো রঙের ছাগল টাকে ধানের মাঠের মধ্যে ধর্ষণ করেছে। আমার ছাগলটা যখন ঘাস খাচ্ছিলো আমি তখন ধান ক্ষেতের আড়ালে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে ছাগলটি তীব্র চিৎকারে ডাক দিলে নাজমুল দেখতে পায় নিজের চোখে শতখালী (মান্দার বাড়ির) গ্রামের বাড়ে মোন্তাজ প্রকাশ্যে লুঙ্গি উঁচিয়ে ছাগলকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে।
নাজমুল আরও জানায়, বাড়ে মোন্তাজ এর আগেও ছাগল-গরুর সাথে এমন অকাম করেছে যা গ্রামের অনেক লোকজন জানে। ছাগল বাড়ে মোন্তাজের বাড়ি রেখে এসে মেম্বার মান্নান শিকদারকে জানিয়েছি।
শতখালী (মান্দার তলাবাড়ি) গ্রামের আলী আহম্মেদের পুত্র মুনতাজের বাড়ির আম গাছের নিচে সেই নাজমুলের ছাগলটি দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। মোন্তাজের পুত্র রুস্তম জানান, তানিয়া ইট ভাটার পটের ধান ছাগল খেয়েছে এই খাওয়াকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ষড়যন্ত্র রটিয়েছে নাজমুল।
রুস্তম আরও জানান, আমার আব্বা তখন মাঠে একা ছিলো। এ বিষয়ে মোন্তাজ আলীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
গতকাল সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর নাজমুলের কাছে ফোন করা হলে তিনি জানান, স্থানীয় মাতব্বর কামাল ও আরও কিছু লোকজন আমাকে ছাগলের দাম হিসেবে ১২ হাজার টাকা দিয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান নাজমুলকে স্থানীয় কিছু উস্কানীমূলক ব্যক্তিগণ বিষয়টি ধামাচাপার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আরও শোনা যায় কিছু দিন পূর্বেই মোন্তাজ এর এক ছেলে বয়স্ক মহিলাকে বিয়ে করা নিয়ে এলাকায় হৈচৈ রব ও পুলিশ এসে শালিস দরবার হয়।
প্রিন্ট