পাট ঠাকুরের পাটে ধুপ দেয়ার পর সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্দিরে মহাদেব এর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল দশটায় দীঘির পানি থেকে চড়ক গাছ তোলা হয়। চড়ক গাছটি মন্দির প্রাঙ্গনের স্থাপনের পর মনোবাসনা পূরণের আশায় সেই গাছে দুধ, তেল, চিনি ঢালেন ভক্ত পূন্যার্থীরা।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের হাজার বছর ধরে চলে আসা এই মেলা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলা থেকেও ভক্ত অনুসারীরা আসেন পূজা দিতে। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে পাল্টে গেছে উৎসবের চিত্র। মেলা বন্ধ রেখে স্বল্প পরিসরে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
পূজা দিতে আসা উজ্জল দত্ত জনান, আমরা বিশ্বাস করি বাবা মহাদেবের কাছে মানসা করলে সেই মানসা পূরণ হয়। বাবা মহাদেবের আশির্বাদে গোটা বিশ্ব শান্তিতে থাকবে আশা করি। উদ্দীপনা দত্ত জানান, এতদিন মনোবাসনা যা যা চেয়েছি ভগবানের কাছে তার সবই পূরণ হয়েছে। আশা করি এবারও হবে। এবারের প্রত্যাশা করোনা মুক্ত সুস্থ্য বিশ্ব পাবো আমরা।
বোঁথড় মহাদেব মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ সম্পাদক রাজিব কুমার বিশ্বাস রাজু জানান, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করছি। স্বেচ্ছাসেবক টিম সবসময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ নিশ্চিত করছে। ইতিপূর্বের পূজার সাথে মেলাও হতো। কিন্তু করোনার কারণে আমরা এবার মেলা বন্ধ রেখেছি। এ কারণে কোনো দোকানপাট বসতে দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে আগামী ১৫ এপ্রিল। করোনার কারণে গতবছর চড়ক পূজার আয়োজন বন্ধ ছিল।
প্রিন্ট