ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে টেন্ডার বাক্স লুটের ঘটনায় ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী গোদাগাড়ীতে শ্রীপাঠ খেতুরী ধার্মের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, ট্রাস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবি Logo কালিয়াকৈরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo ভেড়ামারায় ৪টি ইটভাটায় অভিযান! ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় Logo পাংশায় ৫৩তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাজাপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা Logo রাজাপুর বাশার হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘন্টার মাথায় ২ আসামী আটক ও ভ্যান উদ্ধার Logo আ’ লীগের স্টাইলে লুটপাটের রাজনীতি করছেন বিএনপির দুই নেতা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ক্ষুরা রোগে শতাধিক গরুর মৃত্যু, দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই খামারিদের

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর (এফএমডি) ক্ষুরা রোগ। সম্প্রতি উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক গরু মারা গেছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে কয়েক শতাধিক গরু। ভ্যাকসিন ও ওষুধ দিয়েও রোগ নিরাময় হচ্ছে না। ফলে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের গরুর খামার মালিক ও কৃষকেরা। অনেক খামারি ক্ষুরা রোগের ভয়ে খামারের সকল গরু বিক্রি দেওয়ার কথা ভাবছে। দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই এ অঞ্চলের খামারিদের।

অনেক খামারি অভিযোগ করেছেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ঘুরে মেলেনি ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন। সরকারি ভ্যাকসিন প্রকৃতি খামারিদের না দিয়ে অন্যত্র বাড়তি দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে খামার মালিক ও কৃষকদের ৩৫ হাজার গরু রয়েছে। গত তিন সপ্তাহ আগে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলার বানা ইউনিয়নের গরানিয়া গ্রামে এক মাস আগে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সম্প্রতি ওই গ্রামে সাদিক ডেইরি ফার্মে তিনটি গরু, সুলতান শেখের ৩টি, আজাদ শেখের ৪টি ও কামাল মোল্যার ৩টি গরুসহ ওই অঞ্চলে অনেক গরু ক্ষুরা রোগে মারা গেছে। যাহার প্রত্যকটি গরুর বাজার মূল্যে ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা।

 

বানা ইউনিয়নে অর্ধ শতাধিকের অধিক গরু মারা গেছে যাহার বাজার মূল্যে প্রায় কোটি টাকা। সাদিক ডেইরি ফার্মের মালিক দুলাল বলেন, আমার খামামের ৭-৮ মাসের তিনটি গরুর বাছুর ক্ষুরা মারা গেছে যাহার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ছয় লাখ টাকা। বাকি গরু নিয়ে বড় দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গরুকে ভ্যাকসিনসহ ওষুধ দিয়েছি কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। চোখের সামনে তিনটি গরুর বাছুর হারিয়েছি। অবশিষ্ট গরু বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছি।

একই গ্রামের প্রবাসী কামাল মোল্যার স্ত্রী দিদারা জামান পিয়া জানান, তাদের পালন করা ১০টি গরুর মধ্যে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৩টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্তান্ত হয়ে মারা গেছে। মারা যাওয়ার এক মাস আগে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে লোক এসে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকাসিন দিয়ে যায়। মারা যাওয়া তিনটি গরুর বাজার মূল্যে প্রায় ছয় লাখ টাকা। খামারে একটি গাভী অসুস্থ আছে যার বাজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। এখন খামারের অবশিষ্ট গরুগুলো বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছি।

উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের একাধিক খামারি ও কৃষকের বেশ কিছু মারা গেছে ক্ষুরা (এফএমডি) রোগে।
বুড়াইচ ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের খামারি শরিফুল ইসলাম পলাশ জানান, তার দুইটি গরুসহ শৈলমারী গ্রামে একাধিক ব্যক্তির গরু ক্ষুরা রোগে আক্তান্ত হয়ে মারা গেছে। তাদের প্রত্যকটি গরুর খামারে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও আক্রান্ত রোধ করা যাচ্ছে না। সরকারি ভ্যকাসিনের জন্য অফিসে গেলে আমাদের বলা হচ্ছে কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। অথচ অফিসের ড্রেসারের কাছে বাড়তি টাকায় মেলে ভ্যাকসিন।
মিলন ডেইরি ফার্মের মালিক বুড়াইচ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.মিলন জানান, তার খামারে ১৪টি গরুর মধ্যে গত সপ্তাহে একটি গরু ক্ষুরা রোগে মারা গেছে। বাকি গরু গুলো কয়েক দিন ধরে কোনো খাবার খাচ্ছে না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের লোকজন এসে দেখে গেছে। সরকারি ভ্যাকসিনের জন্য অনেক বার অফিসে গিয়েও মেলেনি ভ্যাকসিন। পরে বাজার থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করে প্রয়োগ করতে হয়েছে। এখন গরু নিয়ে আমি মহা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খামারিদের কিছু গরু মারা যাচ্ছে সঠিক চিকিৎসার অভাবে। অনেক খামার মালিক রয়েছে তারা ভেটেনারি চিকিৎসক থেকে একটু বেশি বোঝে নিজেদের অনেক বড় চিকিৎসক ভাবে। তারা নিজেদের গরুর চিকিৎসার পাশাপাশি অনেক খামার মালিকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করেন। সেসব খামারিদের কথা সুনে অনেকেই ভূল চিকিৎসা দেয়। এ জন্য অনেক গবাদিপশুর সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। অনেক খামারি গরু যখন মৃত্যুর মখোমুখি হয় তখনই প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে আনা হয়। তখন অফিসে যোগাযোগ করে পশু চিকিৎসক ডাকেন। বর্তমান যে ক্ষুরা রোগে গরুকে ওষুধ ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও অনেক গরুকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে উঠে না।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ভবেন বাইন প্রশিক্ষণে থাকায় ভেটিরিনারি সার্জন ডা.শওকত আলী জানান, এ রোগের প্রতিষোধক হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে জনসচেতনা সৃষ্টি এবং উঠান বৈঠক ও মেডিকেল ক্যাম্প করে রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করতে হবে। গবাদি পশুর রোগ নিয়ে সোমবারে শৈলমারীতে আমাদের একটি মেডিকেল ক্যাম্প করার কথা রয়েছে। এ বছর ক্ষুরা রোগে মারা যাওয়া গরুর মধ্যে ৭০ শতাংশই বাছুর গরু।

 

ভ্যানসিন সরবরাহ সংকট দেখিয়ে বাহিরে বাড়তি দামে বিক্রি করার বিষয়ে বলেন, এসব আমাদের জানা নেই। তথ্য প্রমাণ থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

ক্ষুরা রোগে শতাধিক গরুর মৃত্যু, দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই খামারিদের

আপডেট টাইম : ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর (এফএমডি) ক্ষুরা রোগ। সম্প্রতি উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক গরু মারা গেছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে কয়েক শতাধিক গরু। ভ্যাকসিন ও ওষুধ দিয়েও রোগ নিরাময় হচ্ছে না। ফলে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের গরুর খামার মালিক ও কৃষকেরা। অনেক খামারি ক্ষুরা রোগের ভয়ে খামারের সকল গরু বিক্রি দেওয়ার কথা ভাবছে। দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই এ অঞ্চলের খামারিদের।

অনেক খামারি অভিযোগ করেছেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ঘুরে মেলেনি ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন। সরকারি ভ্যাকসিন প্রকৃতি খামারিদের না দিয়ে অন্যত্র বাড়তি দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে খামার মালিক ও কৃষকদের ৩৫ হাজার গরু রয়েছে। গত তিন সপ্তাহ আগে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলার বানা ইউনিয়নের গরানিয়া গ্রামে এক মাস আগে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সম্প্রতি ওই গ্রামে সাদিক ডেইরি ফার্মে তিনটি গরু, সুলতান শেখের ৩টি, আজাদ শেখের ৪টি ও কামাল মোল্যার ৩টি গরুসহ ওই অঞ্চলে অনেক গরু ক্ষুরা রোগে মারা গেছে। যাহার প্রত্যকটি গরুর বাজার মূল্যে ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা।

 

বানা ইউনিয়নে অর্ধ শতাধিকের অধিক গরু মারা গেছে যাহার বাজার মূল্যে প্রায় কোটি টাকা। সাদিক ডেইরি ফার্মের মালিক দুলাল বলেন, আমার খামামের ৭-৮ মাসের তিনটি গরুর বাছুর ক্ষুরা মারা গেছে যাহার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ছয় লাখ টাকা। বাকি গরু নিয়ে বড় দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গরুকে ভ্যাকসিনসহ ওষুধ দিয়েছি কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। চোখের সামনে তিনটি গরুর বাছুর হারিয়েছি। অবশিষ্ট গরু বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছি।

একই গ্রামের প্রবাসী কামাল মোল্যার স্ত্রী দিদারা জামান পিয়া জানান, তাদের পালন করা ১০টি গরুর মধ্যে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৩টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্তান্ত হয়ে মারা গেছে। মারা যাওয়ার এক মাস আগে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে লোক এসে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকাসিন দিয়ে যায়। মারা যাওয়া তিনটি গরুর বাজার মূল্যে প্রায় ছয় লাখ টাকা। খামারে একটি গাভী অসুস্থ আছে যার বাজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। এখন খামারের অবশিষ্ট গরুগুলো বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছি।

উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের একাধিক খামারি ও কৃষকের বেশ কিছু মারা গেছে ক্ষুরা (এফএমডি) রোগে।
বুড়াইচ ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের খামারি শরিফুল ইসলাম পলাশ জানান, তার দুইটি গরুসহ শৈলমারী গ্রামে একাধিক ব্যক্তির গরু ক্ষুরা রোগে আক্তান্ত হয়ে মারা গেছে। তাদের প্রত্যকটি গরুর খামারে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও আক্রান্ত রোধ করা যাচ্ছে না। সরকারি ভ্যকাসিনের জন্য অফিসে গেলে আমাদের বলা হচ্ছে কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। অথচ অফিসের ড্রেসারের কাছে বাড়তি টাকায় মেলে ভ্যাকসিন।
মিলন ডেইরি ফার্মের মালিক বুড়াইচ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.মিলন জানান, তার খামারে ১৪টি গরুর মধ্যে গত সপ্তাহে একটি গরু ক্ষুরা রোগে মারা গেছে। বাকি গরু গুলো কয়েক দিন ধরে কোনো খাবার খাচ্ছে না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের লোকজন এসে দেখে গেছে। সরকারি ভ্যাকসিনের জন্য অনেক বার অফিসে গিয়েও মেলেনি ভ্যাকসিন। পরে বাজার থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করে প্রয়োগ করতে হয়েছে। এখন গরু নিয়ে আমি মহা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খামারিদের কিছু গরু মারা যাচ্ছে সঠিক চিকিৎসার অভাবে। অনেক খামার মালিক রয়েছে তারা ভেটেনারি চিকিৎসক থেকে একটু বেশি বোঝে নিজেদের অনেক বড় চিকিৎসক ভাবে। তারা নিজেদের গরুর চিকিৎসার পাশাপাশি অনেক খামার মালিকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করেন। সেসব খামারিদের কথা সুনে অনেকেই ভূল চিকিৎসা দেয়। এ জন্য অনেক গবাদিপশুর সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। অনেক খামারি গরু যখন মৃত্যুর মখোমুখি হয় তখনই প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে আনা হয়। তখন অফিসে যোগাযোগ করে পশু চিকিৎসক ডাকেন। বর্তমান যে ক্ষুরা রোগে গরুকে ওষুধ ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও অনেক গরুকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে উঠে না।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ভবেন বাইন প্রশিক্ষণে থাকায় ভেটিরিনারি সার্জন ডা.শওকত আলী জানান, এ রোগের প্রতিষোধক হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে জনসচেতনা সৃষ্টি এবং উঠান বৈঠক ও মেডিকেল ক্যাম্প করে রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করতে হবে। গবাদি পশুর রোগ নিয়ে সোমবারে শৈলমারীতে আমাদের একটি মেডিকেল ক্যাম্প করার কথা রয়েছে। এ বছর ক্ষুরা রোগে মারা যাওয়া গরুর মধ্যে ৭০ শতাংশই বাছুর গরু।

 

ভ্যানসিন সরবরাহ সংকট দেখিয়ে বাহিরে বাড়তি দামে বিক্রি করার বিষয়ে বলেন, এসব আমাদের জানা নেই। তথ্য প্রমাণ থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট