ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী চৈতী বিশ্বাসকে (১২) ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মাগুরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর অনুমান বেলা ১১ টার সময় দ্বারিয়াপুর গ্রামের অটো ইজিবাইক চালক শহীদুল ইসলাম বাড়ির পাশের প্রতিবেশী সুনীতা বিশ্বাসের কন্যা চৈতী বিশ্বাসকে ব্যাপক মারধর করেছে।
ঘটনার এ বিষয়ে শহীদুল ইসলামের স্ত্রী বীণা খাতুন জানান, তার কন্যা রাইশা (৬) চৈতীদের বাড়ি থেকে গাছের ফুল ছেড়া নিয়ে এই মারধরের ঘটনা কিন্তু শহীদুল ইসলাম মারধর করেছে কিনা এটা সে দেখেনি।
চৈতী বিশ্বাস জানায়, সে রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। আমি আমাদের বাড়িতে ঘরের মধ্যে ঝাড়ু দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে শহীদুল ইসলাম এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে খাট থেকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে এসে আমাকে ব্যাপক আকারে মারধর করে। এর আগেও শহীদুল ইসলাম আমাকে ২ বার মারধর করেছে।
সুনীতা বিশ্বাস জানান, চৈতীকে মারধর করার সময় আমি বাড়ির বাইরে কাজ করতে গিয়ে ছিলাম। পরে লোকমুখে শুনে বাড়িতে এসে দেখি শহীদুলের ব্যাপক মারধরের কারণে এবং ওড়না দিয়ে পেচানোর জন্য আমার মেয়ে চৈতীর গলা ফুলে উঠেছে ও হাতের একপাশে নখের মারাত্মক আঁচড়ের দাগ সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছিলো। এর আগেও শহীদুল আমার সামনে প্রতিবেশীদের সামান্য বিষয় নিয়ে চৈতীকে মারধর করেছে। সেজন্য আমি নিরুপায় হয়ে মাগুরা সদর থানায় শহীদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
শহীদুল ইসলাম (৪০) মুঠোফোনে জানান, আমি এখন ঝিনাইদহ  আছি। ঘটনা হলো চৈতীদের বাড়ির ফুল গাছ থেকে আমার মেয়ে রাইশা ফুল ছেড়াকে কেন্দ্র করে। আমি চৈতীকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে এসে ছিলাম।
প্রতিবেশী সুমাইয়া সহ এলাকার আরও অনেকে জানান, শহীদুল ইসলাম স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী চৈতীকে এই নিয়ে ৩ বার মারধর করলো।
হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের এস আই মাসুম বিল্লাহ গতকাল রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর মুঠোফোনে জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে পুলিশের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়টি একপর্যায়ে সমাধান করা হয়েছে।
এদিকে দ্বারিয়াপুর এলাকার স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, একটা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের উপর প্রতিবেশীর অমানুষিক নির্যাতন ও মারধরের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটনা। দ্বারিয়াপুর ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতর আলী জানান, মারধরের ঘটনা আমি শুনে হতবাক হয়ে গেছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাগুরায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মোঃ ফারুখ আহমেদ, স্টার্ফ রিপোর্টার মাগুরা :
মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী চৈতী বিশ্বাসকে (১২) ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মাগুরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর অনুমান বেলা ১১ টার সময় দ্বারিয়াপুর গ্রামের অটো ইজিবাইক চালক শহীদুল ইসলাম বাড়ির পাশের প্রতিবেশী সুনীতা বিশ্বাসের কন্যা চৈতী বিশ্বাসকে ব্যাপক মারধর করেছে।
ঘটনার এ বিষয়ে শহীদুল ইসলামের স্ত্রী বীণা খাতুন জানান, তার কন্যা রাইশা (৬) চৈতীদের বাড়ি থেকে গাছের ফুল ছেড়া নিয়ে এই মারধরের ঘটনা কিন্তু শহীদুল ইসলাম মারধর করেছে কিনা এটা সে দেখেনি।
চৈতী বিশ্বাস জানায়, সে রাউতড়া হৃদয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। আমি আমাদের বাড়িতে ঘরের মধ্যে ঝাড়ু দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে শহীদুল ইসলাম এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে খাট থেকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে এসে আমাকে ব্যাপক আকারে মারধর করে। এর আগেও শহীদুল ইসলাম আমাকে ২ বার মারধর করেছে।
সুনীতা বিশ্বাস জানান, চৈতীকে মারধর করার সময় আমি বাড়ির বাইরে কাজ করতে গিয়ে ছিলাম। পরে লোকমুখে শুনে বাড়িতে এসে দেখি শহীদুলের ব্যাপক মারধরের কারণে এবং ওড়না দিয়ে পেচানোর জন্য আমার মেয়ে চৈতীর গলা ফুলে উঠেছে ও হাতের একপাশে নখের মারাত্মক আঁচড়ের দাগ সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছিলো। এর আগেও শহীদুল আমার সামনে প্রতিবেশীদের সামান্য বিষয় নিয়ে চৈতীকে মারধর করেছে। সেজন্য আমি নিরুপায় হয়ে মাগুরা সদর থানায় শহীদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
শহীদুল ইসলাম (৪০) মুঠোফোনে জানান, আমি এখন ঝিনাইদহ  আছি। ঘটনা হলো চৈতীদের বাড়ির ফুল গাছ থেকে আমার মেয়ে রাইশা ফুল ছেড়াকে কেন্দ্র করে। আমি চৈতীকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে এসে ছিলাম।
প্রতিবেশী সুমাইয়া সহ এলাকার আরও অনেকে জানান, শহীদুল ইসলাম স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী চৈতীকে এই নিয়ে ৩ বার মারধর করলো।
হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের এস আই মাসুম বিল্লাহ গতকাল রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর মুঠোফোনে জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে পুলিশের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়টি একপর্যায়ে সমাধান করা হয়েছে।
এদিকে দ্বারিয়াপুর এলাকার স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, একটা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের উপর প্রতিবেশীর অমানুষিক নির্যাতন ও মারধরের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটনা। দ্বারিয়াপুর ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতর আলী জানান, মারধরের ঘটনা আমি শুনে হতবাক হয়ে গেছি।

প্রিন্ট