ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভোটের সমীকরণে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিমল বিশ্বাস এগিয়ে Logo যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৪, পিকআপ জব্দ Logo ভূরুঙ্গামারীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী ও কর্ম কর্তাদের কর্মবিরতি Logo ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা প্রদানের দাবীতে সমাবেশ  Logo আমতলীতে ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার Logo নলছিটিতে বারি তিল-৪ এর বাম্পার ফলন Logo লন্ডনে শহীদ জননীর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান Logo কালুখালী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি লুৎফর, সম্পাদক রুমা নির্বাচিত Logo জনসমর্থন না থাকায় বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে – হানিফ Logo কর্মবিরতিতে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ইআইইউর প্রতিবেদন

২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই তালিকায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়াও স্থান পাবে। ফলে চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইআইইউ বলছে, বাংলাদেশের বাজারের আকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি করা হয়েছে মূলত চীনের বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশগুলো আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে, তার সম্ভাবনার নিরিখে। চীনের বহুল আলোচিত অঞ্চল ও পথোদ্যোগ দ্বিতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। সে উপলক্ষে এই প্রতিবেদন দিয়েছে ইআইইউ।

বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে কোন দেশগুলো চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারে, তাদের নিয়ে একটি

র‌্যাঙ্কিং করেছে ইআইইউ। সেই র‌্যাঙ্কিং বা ক্রমতালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ। এক দশক আগে ২০১৩ সালেও এমন একটি র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২তম। অর্থাৎ গত এক দশকে চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, ১০ বছরে ৫২তম স্থান থেকে ১২তম স্থানে উঠে আসা তার প্রমাণ।

এই ক্রমতালিকার আবার কিছু উপবিভাগও আছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য কোন দেশগুলো। সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিসর, ভারত ও তানজানিয়া।

এরপর সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে কোন দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে- সেই তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে, অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর; এরপর আছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও মিসর।

তবে আরেকটি উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। সেটা হলো- যেসব দেশের সুযোগ বেশি যদিও ঝুঁকি কম; এই তালিকায় বাংলাদেশের পরে আছে যথাক্রমে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল।

এরপর বিনিয়োগের যেসব গন্তব্যে দেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি সেই দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় সবার ওপরে আছে ভারত; এরপর আছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ব্রাজিল ও তাইওয়ান।

বিষয়টি হলো, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। দেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীও অনেক বড়। আগামী এক দশকে দেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর আকার পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরাই এই বাজার ধরতে চান।

এ বাস্তবতায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভোটের সমীকরণে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিমল বিশ্বাস এগিয়ে

error: Content is protected !!

ইআইইউর প্রতিবেদন

২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই তালিকায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়াও স্থান পাবে। ফলে চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইআইইউ বলছে, বাংলাদেশের বাজারের আকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি করা হয়েছে মূলত চীনের বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশগুলো আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে, তার সম্ভাবনার নিরিখে। চীনের বহুল আলোচিত অঞ্চল ও পথোদ্যোগ দ্বিতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। সে উপলক্ষে এই প্রতিবেদন দিয়েছে ইআইইউ।

বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে কোন দেশগুলো চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারে, তাদের নিয়ে একটি

র‌্যাঙ্কিং করেছে ইআইইউ। সেই র‌্যাঙ্কিং বা ক্রমতালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ। এক দশক আগে ২০১৩ সালেও এমন একটি র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২তম। অর্থাৎ গত এক দশকে চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, ১০ বছরে ৫২তম স্থান থেকে ১২তম স্থানে উঠে আসা তার প্রমাণ।

এই ক্রমতালিকার আবার কিছু উপবিভাগও আছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য কোন দেশগুলো। সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিসর, ভারত ও তানজানিয়া।

এরপর সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে কোন দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে- সেই তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে, অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর; এরপর আছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও মিসর।

তবে আরেকটি উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। সেটা হলো- যেসব দেশের সুযোগ বেশি যদিও ঝুঁকি কম; এই তালিকায় বাংলাদেশের পরে আছে যথাক্রমে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল।

এরপর বিনিয়োগের যেসব গন্তব্যে দেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি সেই দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় সবার ওপরে আছে ভারত; এরপর আছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ব্রাজিল ও তাইওয়ান।

বিষয়টি হলো, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। দেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীও অনেক বড়। আগামী এক দশকে দেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর আকার পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরাই এই বাজার ধরতে চান।

এ বাস্তবতায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে।