মাগুরায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ক্যাপ পরা এক যুবক একটি আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল নাড়াচাড়া করছে।
গত বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর তারিখের ঘটনার এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ছবিটি আমাদের পুলিশের নজরে এসেছে। ঐ যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিচয় জানতে পারলেই ধরে ফেলব। তবে গুলির কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। ঘটনার এলাকাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বিএনপির একটি মিছিল আসছিল জেলা জজ আদালতের দিক থেকে। এসময় মিছিলের একটি অংশ চৌরঙ্গী মোড় পার করে সৈয়দ আতল আলী সড়কে প্রবেশ করেছিল। এমন সময় ছাত্রলীগের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মিছিলের উপর হামলা চালায়। এতে মিছিলটি কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বিএনপির কর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের কলেজ রোডের দিকে ধাওয়া দেয়। এ সময় কলেজ রোডের দিক থেকে অন্তত একটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে গুলির খোসাও দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার পর গত বুধবার ফেসবুকে অস্ত্র হাতে এক যুবকের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি কলেজ রোডের একটি বিপণিবিতান থেকে ধারণ করা। ভিডিও তে দেখা যায়, মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এক যুবক অস্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। তাঁর মাথায় আরমি ক্যাপ ও মুখে মাস্ক ছিল। তিনি ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের দাবি।
মাস্কধারী ঐ যুবক ছাত্রলীগের কর্মী কি না, জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম জানান, এটা কে বা কবের ছবি, সেটা স্পষ্ট নয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদের দাবি, ছাত্রলীগ নেতাদের অস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হয়েছে। এরপরও আমাদের নেতা–কর্মীদেরই হয়তো হয়রানি করা হবে।
অস্ত্র হাতে যুবক শাহীন একসময় মাগুরা আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলো।
প্রিন্ট