ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় সহিংসতা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় বিএনপি

  • ফরিদপুর অফিসঃ
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
  • ২০৯ বার পঠিত

ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতার ঘটনা নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীর নামে ‘মিথ্যা মামলা’ ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ৫ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত। এটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসী মনের দুঃখে ইমোশনাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন- ‘এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সাথে জড়িত।’ এটি একেবারেই ডাহা মিথ্যা কথা। আমরা এ ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

শনিবার দুপুরে শহরের চকবাজারে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ তলার হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, সাবেক সহসভাপতি মোস্তাক হোসেন বাবলু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমটি আখতার টুটুল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সালথা পরিদর্শনে এসে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শামা ওবায়েদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হেফাজতের আড়ালে বিএনপি এ কাজ করেছে বলে তারা বলছেন। অথচ হেফাজত তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমী জননী আখ্যা দিয়েছিল। সেই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালন-পালন করেছে।

শামা ওবায়েদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এতো তাণ্ডব চালাতে পারে তাহলে সকলের কাছে এটি পরিষ্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে ও লালন-পালন করছে। এভাবে সারাবিশ্বে তারা দেখাচ্ছে যে হেফাজত এই তাণ্ডব চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই এই তাণ্ডব বন্ধ করতে পারে। এই নিম্নমানের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ঘটনার রাতে পুলিশ যেই চিত্রটি দিয়েছিলেন পরের দিন দেখা গেল মামলায় তা পুরাই উল্টো গেলে। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিতিতে তার ছেলের নির্দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তি দাবি করেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে হলে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে মাঠে এসে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দমন পীড়ণ করে মিথ্যা মামলায় এলাকাছাড়া করে এই রাজনীতি বেশি দিন চালাতে পারবেন না।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সালথায় সহিংসতা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
ফরিদপুর অফিসঃ :

ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতার ঘটনা নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীর নামে ‘মিথ্যা মামলা’ ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ৫ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত। এটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসী মনের দুঃখে ইমোশনাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন- ‘এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সাথে জড়িত।’ এটি একেবারেই ডাহা মিথ্যা কথা। আমরা এ ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

শনিবার দুপুরে শহরের চকবাজারে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ তলার হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, সাবেক সহসভাপতি মোস্তাক হোসেন বাবলু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমটি আখতার টুটুল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সালথা পরিদর্শনে এসে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শামা ওবায়েদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হেফাজতের আড়ালে বিএনপি এ কাজ করেছে বলে তারা বলছেন। অথচ হেফাজত তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমী জননী আখ্যা দিয়েছিল। সেই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালন-পালন করেছে।

শামা ওবায়েদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এতো তাণ্ডব চালাতে পারে তাহলে সকলের কাছে এটি পরিষ্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে ও লালন-পালন করছে। এভাবে সারাবিশ্বে তারা দেখাচ্ছে যে হেফাজত এই তাণ্ডব চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই এই তাণ্ডব বন্ধ করতে পারে। এই নিম্নমানের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ঘটনার রাতে পুলিশ যেই চিত্রটি দিয়েছিলেন পরের দিন দেখা গেল মামলায় তা পুরাই উল্টো গেলে। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিতিতে তার ছেলের নির্দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তি দাবি করেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে হলে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে মাঠে এসে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দমন পীড়ণ করে মিথ্যা মামলায় এলাকাছাড়া করে এই রাজনীতি বেশি দিন চালাতে পারবেন না।


প্রিন্ট