কুষ্টিয়া ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী টিকিট বুকিং ক্লার্ক শারমিন আক্তারের সাথে নারী-যাত্রীর টিকেট ফেরত দেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ড হট্টগোল। পোড়াদহ জিআরপি থানায় মামলা দায়ের। যাত্রী দুইজন জেল হাজতে।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে ভেড়ামারা উপজেলার রেল ওয়ে ষ্টেশন টিকিট কাউন্টারে ৩০ আগষ্ট বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার সময়।
ঘটনা স্থলে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার আতিকুর রহমান জানান,ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনে মাহফুজা আক্তার নামে একজন নারী যাত্রী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহীতে যাবেন ৩১ আগষ্ট। এই জন্য তিনি একদিন আগে ৩০ আগষ্ট টিকিট কেটেছেন। কারণ বশত তিনি পরের দিন ঐ ট্রেনে যাবেন না। ৩০ আগষ্ট বেলা ১১ টার সময় টিকেট কেটে ঐ দিনই দুপুরে সে টিকিট ফেরত বা পরিবর্তন করতে আসেন কাউন্টারে থাকা সহকারী বুকিং ক্লার্ক শারমিন আক্তারের কাছে। প্রথমে তিনি বলেন টিকিট ফেরত হবে না। কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৩৫ টাকার স্থলে অর্ধেক টাকা ফেরত পাবেন। এছাড়া তিনি তাকে কোন রকম সহযোগিতা করতে পারবেন না বলে টিকেট বদলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন নারী যাত্রী মাহফুজা আক্তার সকল প্রকার খরচ দিয়ে টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করে দিতে বললেও উক্ত টিকেট মাস্টার এই নারী যাত্রীর সাথে তর্কে জড়ান। যাত্রী মাহফুজা টিকেট কাউন্টারের ভেতরে গিয়ে তাকে প্রথমে অনুরোধ করেন সহায়তা চাইলে তখন শারমিন আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে উভেয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করি।
এ সময় মহিলা যাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেন রাখা হয় যুক্তি হিসেবে বলা হয় তিনি ভিডিও করছিলেন। নারী যাত্রী মাহফুজা রাজশাহীর প্রিমিয়ার ব্যাংক এ চাকরি করেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় মাহফুজা আক্তারের বোন সাদিয়া আক্তারকে ও হেনস্থা করা হয়।
পরবর্তীতে উক্ত সহকারী টিকিট বুকিং ক্লার্ক শারমিন আক্তার ষ্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীনের সহযোগিতায় জিআরপি পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পোড়াদহ জিআরপি থানা থেকে পুলিশ ভেড়ামারা রেলওয়ে ষ্টেশনে আসে। কাউন্টার মাষ্টার শারমিনের অভিযোগের ভিত্তিতে স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়েছে অভিযোগে দিয়ে ঐ যাত্রীর বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় শারমিন বাদী হয়ে দুইজন যাত্রীকে আসামী করেন।
পোড়াদহ জি আরপি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এমদাদুল হক জানান, ভেড়ামারা ষ্টেশনের বুকিং ক্লার্ক শারমিন আক্তারের লিখিত অভিযোগে মামলা নেয়া হয়। মামলা নং ৪/৩১/৮/২৩। এবং অভিযুক্ত ২জন যাত্রীকে গ্রেফতার করে আজ ৩১ আগষ্ট সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনা বিস্তারিত জানার জন্য ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী টিকিট বুকিং ক্লার্ক শারমিন আক্তারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
তবে উক্ত ঘটনার ভিডিও এবং নিউজ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে আজ ভাইরাল হয়েছে। ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী টিকিট বুকিং ক্লার্ক শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণের বিস্তার অভিযোগ তোলে ফেসবুকে পোষ্ট করেন অনেকেই।
প্রকৃত ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
প্রিন্ট