মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে, ৬শ’ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটিও ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে। ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসে প্রকল্পটি পুরোপুরি চালুর পূর্ব পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর মার্চ অথবা এপ্রিলে পুরোদমে উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান এ প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
জাপানি প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএইচআই এই তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১ হাজার ১৫০ বিদেশী নাগরিকসহ ৮ হাজার মানুষ এ প্রকল্পে কর্মরত আছেন। এরই মধ্যে প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৯৭ শতাংশ ও সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট’ নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড।
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, রবিবার থেকে প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৫ হাজার টন কয়লার চাহিদা রয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।
মাতারবাড়ির ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ৬০০ মেগাওয়াটের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। রবিবার থেকে এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। উৎপাদন শুরুর প্রথম ধাপে ১৫০, দ্বিতীয় ধাপে ৩০০, মেগাওয়াট এরপর ৪০০ মেগাটওয়াট ও রবিবার থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট থেকে ডিজেলের পরিবর্তে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো।