ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বালিয়াকান্দিতে বিএনপি নেতাদের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ Logo নারী দালাল হেলেনা আক্তার কে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় ‌জনতা Logo দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই গুরুতর জখম Logo বাঘায় শয়নকক্ষ থেকে গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo সদরপুরে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, জনমনে স্বস্তি Logo নাটোরে খ্রিস্টান ধর্মপল্লীগুলোতে ইস্টার সানডে পালিত Logo ছয় দফা দাবি আদায়ে ফরিদপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, দিলেন বক্তব্যও Logo মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগী কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর Logo সদরপুরে হেরোইনসহ যুবক আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীতে যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্যের কারাদন্ড

-ছবিঃ প্রতীকী।

স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জুয়েল মোল্যা (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার তিন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে। তিনি বর্তমান মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কনেস্টবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাদীর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে শরীয়ত মতে বাদীকে বিবাহ করেন। পরে ২০১৭ সালে বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় ওই পুলিশ সদস্য শরীয়ত মতে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

পরে ওই বছরেই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে মামলার ভয়ে বাদীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে পুনরায় বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দিলে বাদীকে তার ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।

পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।

 

 

বাদীপক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার সাথে প্রথমে প্রতারণা করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আমাকে শরীয়ত মতে বিয়ে করে। পরে সে অস্বীকার করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আমাকে বাড়িতে নিবে বলে আবার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। আসামীকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বালিয়াকান্দিতে বিএনপি নেতাদের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

error: Content is protected !!

কাশিয়ানীতে যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্যের কারাদন্ড

আপডেট টাইম : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
সাকিব হোসেন, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :

স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জুয়েল মোল্যা (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার তিন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে। তিনি বর্তমান মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কনেস্টবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাদীর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে শরীয়ত মতে বাদীকে বিবাহ করেন। পরে ২০১৭ সালে বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় ওই পুলিশ সদস্য শরীয়ত মতে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

পরে ওই বছরেই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে মামলার ভয়ে বাদীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে পুনরায় বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দিলে বাদীকে তার ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।

পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।

 

 

বাদীপক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার সাথে প্রথমে প্রতারণা করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আমাকে শরীয়ত মতে বিয়ে করে। পরে সে অস্বীকার করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আমাকে বাড়িতে নিবে বলে আবার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। আসামীকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’


প্রিন্ট