ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার Logo গোপালগঞ্জে দূর্নীতি ও প্রতারণা করা সেই ত্রাণ কর্মকর্তার তদন্ত শুরু Logo কুষ্টিয়ায় জেল পলাতক আসামি রুবেল গ্রেফতার Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবসহ সেবাদান প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ালেন আদিত্য ফাউন্ডেশন Logo ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শামীম তালুকদার গ্রেপ্তার Logo এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র Logo মাগুরা শ্রীপুরে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গ্রেফতার Logo রাশিয়ার কুরস্কে ৪০ শতাংশ এলাকার দখল হারিয়েছে ইউক্রেন Logo কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে যাওয়ায় ১৫ নেতাকে শোকজ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কাশিয়ানীতে যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্যের কারাদন্ড

-ছবিঃ প্রতীকী।

স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জুয়েল মোল্যা (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার তিন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে। তিনি বর্তমান মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কনেস্টবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাদীর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে শরীয়ত মতে বাদীকে বিবাহ করেন। পরে ২০১৭ সালে বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় ওই পুলিশ সদস্য শরীয়ত মতে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

পরে ওই বছরেই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে মামলার ভয়ে বাদীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে পুনরায় বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দিলে বাদীকে তার ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।

পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।

 

 

বাদীপক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার সাথে প্রথমে প্রতারণা করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আমাকে শরীয়ত মতে বিয়ে করে। পরে সে অস্বীকার করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আমাকে বাড়িতে নিবে বলে আবার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। আসামীকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায়

error: Content is protected !!

কাশিয়ানীতে যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্যের কারাদন্ড

আপডেট টাইম : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
সাকিব হোসেন, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :

স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জুয়েল মোল্যা (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন। এ সময় মামলার তিন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী ইউনিয়নের জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে। তিনি বর্তমান মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কনেস্টবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাদীর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে শরীয়ত মতে বাদীকে বিবাহ করেন। পরে ২০১৭ সালে বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় ওই পুলিশ সদস্য শরীয়ত মতে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

পরে ওই বছরেই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে মামলার ভয়ে বাদীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে পুনরায় বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দিলে বাদীকে তার ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।

পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাশিয়ানী আমলী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।

 

 

বাদীপক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার সাথে প্রথমে প্রতারণা করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আমাকে শরীয়ত মতে বিয়ে করে। পরে সে অস্বীকার করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আমাকে বাড়িতে নিবে বলে আবার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। আসামীকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’


প্রিন্ট