নওগাঁর আত্রাইয়ে আবু সাঈদ সোহাগ (২৩) হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে নেয়া চার জনের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ড শেষে রোববার সকালে রিমান্ডে থাকা চার আসামীকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তবে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকার গাজীপুরের মৌচাক এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার আদালতে সোর্পদ করে পুলিশ।
আত্রাই উপজেলার সিংসাড়া গ্রামের আবু সাঈদ সোহাগের বাবা দিদার আলী জানান, গত ১৬এপ্রিল রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে সোহাগ। পরের দিন সকালে গ্রামের ওমর আলীর পুকুর পাড়ে সোহাগের মরদেহ পাওয়া যায়।এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগ এনে সিংসাড়া গ্রামের মজিবর রহমান, মজিবরের মেয়ে মৌসুমি খাতুন, স্ত্রী শাহানারা বিবি, ছেলে শামিম হোসেন এবং মজিবরের ভাই আজিবর রহমান ও গ্রামের মোতালেব হোসেনকে অভিযুক্ত করে এজাহারনামীয় ৬জন এবং অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দিদার আলী জানান, ছেলে সোহাগ একই গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মৌসুমিকে বিয়ে করে প্রায় চার বছর সংসার করে। এর পর ঘটনার ৬/৭মাস আগে বনি-বনা না হওয়ায় সোহাগ-মৌসুমির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার পরেও নতুন করে সোহাগের সাথে সর্ম্পক স্থাপনের চেষ্টা করে মৌসুমি। এরই জ্বের ধরেই মামলার আসামীরা সোহাগকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন দিদার আলী। তিনি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোসীদের শাস্তির দাবি করেছেন।
- আরও পড়ুনঃ ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত সিকদারের উঠান বৈঠক
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, আত্মগোপনে থাকা মজিবর, মৌসুমি, শাহানারা ও শামিম হোসেনকে গত মঙ্গলবার ঢাকার গাজীপুরের মৌচাক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার আদালতে সোর্পদ করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। রিমান্ডে চার জনের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের সার্থে এখনই তথ্যগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। প্রাপ্ত তথ্যগুলো গুরুত্বের সাথে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। রিমান্ড শেষে চারজনকে রোববার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
প্রিন্ট