নাইক্ষ্যংছড়ি-তে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার হিড়িক; দেখার কেউ নেই, শিরোনামে নিউজ টি প্রকাশ হওয়ার পর পরেই ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ০৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজুখাইয়া ফকিরপাড়া এলাকায় ইটভাটা সংলগ্ন স্থানে পাহাড় ও টিলা কর্তন ও মোচনের দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ -এর ধারা ৬ (খ) অনুযায়ী (ইউপি সদস্য) আবুল কালাম চৌধুরী (৪০), পিতা: মৃত ইমাম উদ্দিন -কে ০১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা বলেন, পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করা হয়।উল্লেখ্য যে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ১২০৪/২০২২ অনুযায়ী ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি পাহাড় ও টিলা কর্তন ও মোচনের মাধ্যমে সংগৃহীত মাটি ও বালু ইটভাটায় ব্যবহার/বিক্রয় করছে মর্মে দৃশ্যমান হয়।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মার জানান, পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত জঘন্য অপরাধে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত অপরাধে সে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালী হউক তার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। পাহাড় খেকোদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে এবং আনা হবে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
প্রিন্ট