পারিবারিক পুষ্টি বাগান করে সংসারে নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থিখ ভাবে লাভবান হচ্ছেন বসবাস করা বাসিন্দারা। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১ং শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপারা এলাকা ঘুরে দেখা যায় মুজিবশত বর্ষ উপলক্ষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কারিগরি সহযোগিতায় সড়কের পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন এলাকাবাসিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন শীর্ষক প্রকল্পের অয়তায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে করছে। হাতিয়াপারা গ্রামের বসবাসকারী রইছ, রবিউল, মির্জাপুর গ্রামের ফেরদৌস, ডিজেল জানান পতিত থাকা দেড় শতাংশ জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোন কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না।
ফেরামন ফাঁদ স্হাপনের বাধ্যমে পোকামাকড় দমন করা হয়। পুষ্টি বাগানে রয়েছে করলা, ঢেঁড়স, কলমি শাঁক, পুঁইশাক, বরপুটি, লাউ, শীম, লালশাক, মরিচ ইত্যাদি। এছাড়াও বসতভিটার চারপাশ দিয়ে কলা, আম, পেয়ারা, জাম ও লিচুর গাছ লাগানো হয়েছে। পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে।
মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন কারি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কারিগরী পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন। এক ইঞ্চি জায়গা যেন পড়ে না থাকে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন শীর্ষক প্রকল্পের অয়তায় প্রতিটি ইউনিয়নে এক শত টি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান, আত্রাই উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
বসবত বাড়ির আঙ্গিনার পাশাপাশি বিশেষ করে যেখানে পতিত জমি রয়েছে সেখানে অগ্রাধিকার ভিক্তিতে পারিবারিক নিরাপদ পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান পরিবারের নিরাপদ পুষ্টি চাহিদা পূরণে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন আত্রাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার।
প্রিন্ট