মাগুরার মহম্মদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু তোয়েব মোল্যা (২৮) নামের এক ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নিউল্যাব হাসপাতালে ভর্তির পর আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে। রোববার রাত ৯ টার সময় উপজেলার নাওভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তোয়েব রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং নাওভাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম মাস্টারের ছেলে।
আহত আবু তোয়েবের চাচা নুরল হক জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে নাওভাঙ্গা গ্রামের ফুল মিয়া বিশ্বাসের ছেলে কৃষকদল নেতা জিবলু বিশ্বাস সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুকে তোয়েবের গলায় নৌকা ঝুলানো একটি ছবি পোষ্ট করেন। ছবিটি ২০১১ সালের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনের সময় তোলা ছিল। কৃষকদল নেতা জিবলু বিশ্বাস ফেসবুক পোষ্টে লেখেন, ‘মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগের কর্মী ছাত্রদলের রাজাপুর ইউনিয়ন সিনিয়র সহ-সভাপতি কিভাবে হয়।’ তোয়েব বিষয়টি দেখতে পেয়ে জিবলু বিশ্বাসের গ্রাম্য মাতব্বর জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ করলে জিবলু বিশ্বাস কে দিয়ে তিনি পোষ্ট ডিলেট করিয়ে দিবেন বলে তাকে আশ্বস্থ করেন।
মাতব্বরের কাছে অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চর নাওভাঙ্গা দক্ষিণপাড়া এলাকায় পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা জিবলুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তোয়েবকে দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে সে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয় যায় র্দুবৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউল্যাব হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমান তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে। আবু তোয়েবের সুস্থ্যতার জন্য ফেসবুকে দোয়া চেয়ে অসংখ্য পোষ্ট দিয়েছেন, বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরই বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলকায় অতিরিক্ত পুলিশ মােতায়েন করা হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ি হবে।
প্রিন্ট