কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সঞ্জয় প্রামানিক হত্যায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোস্তাফিজুর রহমান শোভনসহ খুনিদের ফাঁসি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৬টার সময় ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে প্রাণকেন্দ্রে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন শামীম, সাধারণ সম্পাদক মানিক মিঞা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সোলাইমান হোসেন, ভেড়ামারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল আলম প্রাইম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামানিক (৩৫) দলীয় কর্মকান্ড শেষ করে শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় তার বাড়িতে ফিরছিলেন।
বাসায় ঢোকার সময় আগে থেকে সেখানে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় যুবজোটের (জাসদ) ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে অবস্থান করা ২০ থেকে ২৫ জনের সন্ত্রাসীদল সঞ্জয় প্রামানিককে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা রিপন হোসেন ও শ্যামল সরদার নামে দুই কর্মী বাঁধা দিতে গেলে তাদের কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। সন্ত্রাসীরা পরে সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের পায়ে ও হাঁটুর নিচে গুলি করে। এছাড়াও তার মাথায় ও শরীরে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ৮দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সঞ্জয় মারা যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয়সহ তিনজনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
৮দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টার সময় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংবাদ ভেড়ামারায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামীগের অফিসের পাশে ডাকবাংলার সামনে জড়ো হয়। বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
প্রিন্ট