ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালীগঞ্জের ব্যস্ততম রাস্তায় জনদূর্ভোগ চরমে

খানা খন্দে ভরা, নেই কোনো সংস্কারের উদ্যোগ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জে ইউনিয়নের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশায় রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । কালীগঞ্জ টু সাহেবগঞ্জ, নুনখাওয়া যাওয়ার রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় মরণফাঁদ  সৃষ্টি হয়েছে,  যেকোনো সময় হতে পারে বড়সড়ো দূর্ঘটনা। শতশত পথচারীদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে রাস্তাটি, দীর্ঘদিন যাবৎ এরকম থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেই  রাস্তা মেরামতের।

কালীগঞ্জ বাজারের পাশেই  মোঃ একাব্বর আলীর বাড়ির সামনে  এবং বলোদেরভিটার আবু মিয়ার বাসার সামনে  এবং পুড়ো রাস্তার কয়েক কিলোমিটার  রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে এবং কাদায় পরিপূর্ণ রাস্তা টি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি দীর্ঘদিন যাবৎ এই মরণফাঁদের কাদামাটির রাস্তাটির ঐতিহাসিক পুকুর এখনো কাদাময় রাস্তার মাঝে। কাদামাটি পায়ে মেখে স্কুলে যেতে হচ্ছে  বাচ্চাদের।
জনদূর্ভোগে অতিষ্ঠ  শতশত পথচারীরা জানান যে আমাদের  গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে রাস্তায় সেই কাদাময় ঐতিহাসিক পুকুরেই আটকে যাবে  অ্যাম্বুলেন্স আমরা রোগীকে দ্রুত কোথাও নিয়ে যেতে বাড়তি সময় গুনতে হয় আমাদের  এর থেকে মুক্তি চাই  দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করুন। এই রাস্তাটি দিয়ে  বলদেরভিটা,সাতানীহাল্ল্যা, ফকিরপাড়া,সাহেবগঞ্জ,  চর কাঠগিরাই, নুনখাওয়া সহ ১৭ টি গ্রামের মানুষ চলাফেরা করে রাস্তার  বেহাল দশায়  এখনো দূর্ভোগে এই ১৭ টি গ্রামের মানুষ। শতশত পথচারীদের প্রশ্ন কেনো এই ব্যস্ত রাস্তাটি মেরামত হচ্ছে না।
একজন পথচারীর সাথে কথা বললে তিনি  জানান যে দেশ বর্তমান ডিজিটাল  হামরা ভাবছি হামার এলাকাও উন্নয়ন হবে, এমন উন্নয়ন হবাইছে যে রাস্তার কাদো বিছানায় উঠে, বৃষ্টি আসলে পুরো রাস্তাটি একেবারে ধানক্ষেত হয়ে যায়। এই যে  সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচি দিছে তারা যদি টিকমতো মাটি কাটতো তাহলে রাস্তাটি আজ এমন হতো না, সেদিন দেখলোং একটা বুড়ি বেডিছাওয়া পিছলি পড়ি গেছে রাস্তায় এমন কত মানুষ পড়ি যায়, রাস্তাটি অনেক দিন থেকে এরকম তাও কেনবা কারো চোখত পড়ে না নাকি চোখত নোডা সোনদাইছে আল্লাহ জানে।
আরেকজন পথচারী জানান কি আর করার কতৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তার মাঝে  পুকুর হইছে কয়দিন পর নদী হবে তাও মনে হয় রাস্তা মেরামত হবার নয়। বর্ষাকালে আমার যে দূর্দশা সেই দূর্দশাই রয়ে গেলো জনবান্ধব লোক দেখলোং না। শুনেছি পাকা হবে তার কোনো নাম গন্ধ নাই।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত মেরামত করতে হবে রাস্তাটি,  শতশত পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধা সুন্দর করতে হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কালীগঞ্জের ব্যস্ততম রাস্তায় জনদূর্ভোগ চরমে

আপডেট টাইম : ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
জেলাল আহম্মদ রানা, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জে ইউনিয়নের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশায় রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । কালীগঞ্জ টু সাহেবগঞ্জ, নুনখাওয়া যাওয়ার রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় মরণফাঁদ  সৃষ্টি হয়েছে,  যেকোনো সময় হতে পারে বড়সড়ো দূর্ঘটনা। শতশত পথচারীদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে রাস্তাটি, দীর্ঘদিন যাবৎ এরকম থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেই  রাস্তা মেরামতের।

কালীগঞ্জ বাজারের পাশেই  মোঃ একাব্বর আলীর বাড়ির সামনে  এবং বলোদেরভিটার আবু মিয়ার বাসার সামনে  এবং পুড়ো রাস্তার কয়েক কিলোমিটার  রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে এবং কাদায় পরিপূর্ণ রাস্তা টি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি দীর্ঘদিন যাবৎ এই মরণফাঁদের কাদামাটির রাস্তাটির ঐতিহাসিক পুকুর এখনো কাদাময় রাস্তার মাঝে। কাদামাটি পায়ে মেখে স্কুলে যেতে হচ্ছে  বাচ্চাদের।
জনদূর্ভোগে অতিষ্ঠ  শতশত পথচারীরা জানান যে আমাদের  গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স ডাকলে রাস্তায় সেই কাদাময় ঐতিহাসিক পুকুরেই আটকে যাবে  অ্যাম্বুলেন্স আমরা রোগীকে দ্রুত কোথাও নিয়ে যেতে বাড়তি সময় গুনতে হয় আমাদের  এর থেকে মুক্তি চাই  দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করুন। এই রাস্তাটি দিয়ে  বলদেরভিটা,সাতানীহাল্ল্যা, ফকিরপাড়া,সাহেবগঞ্জ,  চর কাঠগিরাই, নুনখাওয়া সহ ১৭ টি গ্রামের মানুষ চলাফেরা করে রাস্তার  বেহাল দশায়  এখনো দূর্ভোগে এই ১৭ টি গ্রামের মানুষ। শতশত পথচারীদের প্রশ্ন কেনো এই ব্যস্ত রাস্তাটি মেরামত হচ্ছে না।
একজন পথচারীর সাথে কথা বললে তিনি  জানান যে দেশ বর্তমান ডিজিটাল  হামরা ভাবছি হামার এলাকাও উন্নয়ন হবে, এমন উন্নয়ন হবাইছে যে রাস্তার কাদো বিছানায় উঠে, বৃষ্টি আসলে পুরো রাস্তাটি একেবারে ধানক্ষেত হয়ে যায়। এই যে  সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচি দিছে তারা যদি টিকমতো মাটি কাটতো তাহলে রাস্তাটি আজ এমন হতো না, সেদিন দেখলোং একটা বুড়ি বেডিছাওয়া পিছলি পড়ি গেছে রাস্তায় এমন কত মানুষ পড়ি যায়, রাস্তাটি অনেক দিন থেকে এরকম তাও কেনবা কারো চোখত পড়ে না নাকি চোখত নোডা সোনদাইছে আল্লাহ জানে।
আরেকজন পথচারী জানান কি আর করার কতৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তার মাঝে  পুকুর হইছে কয়দিন পর নদী হবে তাও মনে হয় রাস্তা মেরামত হবার নয়। বর্ষাকালে আমার যে দূর্দশা সেই দূর্দশাই রয়ে গেলো জনবান্ধব লোক দেখলোং না। শুনেছি পাকা হবে তার কোনো নাম গন্ধ নাই।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত মেরামত করতে হবে রাস্তাটি,  শতশত পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধা সুন্দর করতে হবে।

প্রিন্ট