ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি Logo শিশু তাহমিদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo যশোরে সজাগ’র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন Logo লালপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে ‍দুই নদীর তীরে ভাঙন, আতঙ্কে স্থানীয়রা

সদরপুরের দিয়ারা নাড়িকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সরদার বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সহায়তা করছি। ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।’

ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বাড়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।

চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে।

ভাঙন ঝুঁকিতে আছে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের শত শত একর ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর।

স্থানীয়রা জনান, ভাঙন রোধে ঝঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দেয়া হলেও হচ্ছে না স্থায়ী সমাধান।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের আকোটের হাট সংলগ্ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী। এখানে আছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরেই পদ্মা নদীর অবস্থান।

এ ছাড়া উপজেলার নাড়িকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, কাচিকাটা গ্রাম, ফকিরকান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি গ্রামও রয়েছে ঝুঁকিতে।

অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর স্রোতে উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজকান্দি, চরগজারিয়া, গিয়াসউদ্দীন মুন্সীরকান্দি গ্রাম ভাঙছে।

খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, ‘সরকার আমাদের ভালোই দিল, ভালো ছিলাম, কিন্তু পদ্মায় তো সব নিয়া যাইব। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ এলাকার কিছু কিছু জায়গা নদীতে তলায়া যায়।’

উপজেলার দিয়ারা নাড়িকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সরদার জানান, প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই বছরে ইউনিয়নের এক কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সহায়তা করছি। ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।’

চরনাসিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নদীশাসন না করলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। আমি ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে স্থায়ী সমাধান আশা করছি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু এহসান মিয়া জানান, পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’

উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে ‍দুই নদীর তীরে ভাঙন, আতঙ্কে স্থানীয়রা

আপডেট টাইম : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
সদরপুরের দিয়ারা নাড়িকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সরদার বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সহায়তা করছি। ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।’

ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বাড়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।

চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে।

ভাঙন ঝুঁকিতে আছে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের শত শত একর ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর।

স্থানীয়রা জনান, ভাঙন রোধে ঝঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দেয়া হলেও হচ্ছে না স্থায়ী সমাধান।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের আকোটের হাট সংলগ্ন খোকারাম সরকারের ডাঙ্গী। এখানে আছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরেই পদ্মা নদীর অবস্থান।

এ ছাড়া উপজেলার নাড়িকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, কাচিকাটা গ্রাম, ফকিরকান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি গ্রামও রয়েছে ঝুঁকিতে।

অপরদিকে আড়িয়াল খাঁ নদীর স্রোতে উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজকান্দি, চরগজারিয়া, গিয়াসউদ্দীন মুন্সীরকান্দি গ্রাম ভাঙছে।

খোকারাম সরকারের ডাঙ্গীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, ‘সরকার আমাদের ভালোই দিল, ভালো ছিলাম, কিন্তু পদ্মায় তো সব নিয়া যাইব। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ এলাকার কিছু কিছু জায়গা নদীতে তলায়া যায়।’

উপজেলার দিয়ারা নাড়িকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সরদার জানান, প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই বছরে ইউনিয়নের এক কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সহায়তা করছি। ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।’

চরনাসিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে নদীশাসন না করলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। আমি ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে স্থায়ী সমাধান আশা করছি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু এহসান মিয়া জানান, পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’

উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।


প্রিন্ট