গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন নেই। এতে ধীর গতিতে চলছে অফিসের কার্যক্রম। ফলে চাহিদামত সেবা পাচ্ছে না উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত খামারীরা। আজ ১০ আগষ্ট সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসুস্থ পশু নিয়ে এসেছেন খামারিরা। আবার অনেক খামারিরা এসেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে পশুপালন সম্পর্কিত পরামর্শ নিতে। কিন্তু অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় তাঁরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।
এ ছাড়া অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অভিমান্য চন্দ্রের বদলির কারণে পদটি শূন্য হয়। বর্তমানে পদটি খালি রয়েছে। এ ছাড়াও গত ৪ বছর আগে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এর বদলি জনিত কারণে মুকসুদপুর উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন এর পদ শূন্য হয় যেখানে নতুন করে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
অফিসের প্রানী সম্প্রসারন কর্মকর্তা মাসুদুল আলম জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভিন্ন জরুরি ফাইলগুলো সই করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি নেওয়া এবং নানা প্রয়োজনীয় কাজে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। মুকসুদপুর উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসে সেবা নিতে আসা খালিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দপ্তরটিতে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা না থাকায় পশু চিকিৎসা ও লালন-পালনের বিষয়ে পরিপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা।
- আরও পড়ুনঃ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার নতুন নিয়ম
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গোবিন্দ্র চন্দ্র সরদার মুঠোফোনে বলেন কর্মকর্তারা না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব আমার পালন করতে হচ্ছে। ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় এমন সমস্যা হচ্ছে। তবে নতুন করে লোকবল নিয়োগ দিলে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
প্রিন্ট