বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে । গত ৩০ জুলাই রবিবার রাতে আমতলী উপজেলার কেওয়াবুনিয়া গ্রামে জহির গাজীর বাড়িতে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয় রাত ২:৩০ এর সময়।
জানা গেছে, কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী কেওয়াবুনিয়া গ্রামের জহির গাজীর মেয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীর (১৪)এর সাথে পাশের গ্রামের রায়বালা (বিলের বাড়ি নামে পরিচিত) মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ মাসুম এর সাথে বাল্যবিবাহ দেয়।
এ ব্যাপারে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান হালিম বলেন তার স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ের কথা লোকমুখে শুনেছেন।
উল্লেখ্য মাসুম গত ২১ জুলাই পটুয়াখালী পৌরশহরে আয়শা নামের এক মেয়েকে পিরোজপুর নিয়ে বিয়ে করেন।এরপর গত ৩০ জুলাই রাত ২ টা ৩০ এর সময় কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে করেন। মাসুমের দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে প্রথম স্ত্রী আয়েশা তার আত্মীয় স্বজন নিয়ে মাসুমের বাড়িতে আসেন। আয়শা বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে মাসুমের বাবা মা ও মাসুম ঘরে তালা মেরে বাড়ী থেকে চলে যায়। আয়শা বাড়ীতে থাকা অবস্থায় মাসুম ২ আগষ্ট আয়শাকে এক তরফা তালাক প্রদান করেন। মাসুমের বাবা মজিবুর রহমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আয়শার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ৩ আগষ্ট রাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপে আয়শা ও আত্মীয় স্বজনরা মাসুমের বাড়ী থেকে চলে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চ্যেল্যের সৃর্ষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ও আয়শার পরিবার মাসুমের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেছেন।
- আরও পড়ুনঃ রুপালি ইলিশ কেন সোনার হরিণ
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, তাৎক্ষনিক সংবাদ পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেয়া যেত। এখন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট