ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রুপালি ইলিশ কেন সোনার হরিণ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৬০ বার পঠিত
২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ইলিশের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ২০০২ সালে ইলিশ রক্ষার জন্য মা ইলিশ ও জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। স্বাদ, গন্ধে এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ চাঁদপুরের ইলিশ। ইলিশের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ফলে ইলিশের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেশ ভালো কাজ করে। এ ছাড়া চর্বিসংক্রান্ত সব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। ইলিশে থাকা ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এল-আরজিনিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মাংসপেশি ও টিস্যু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মাছে যে প্রোটিন থাকে, তা কোলাজেন সমৃদ্ধ। কোলাজেন হচ্ছে অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা কোষের যোগাযোগক্ষমতা বাড়িয়ে কোষের সার্বিক কার্যকারিতা বাড়ায়।

 

বিশ্বজোড়া রয়েছে চাঁদপুরের ইলিশের সুখ্যাতি। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। চাঁদপুরের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলিশ। কিন্তু ভরা মৌসুমেও সেই চাঁদপুরেই চলছে ইলিশের আকাল। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নদী এবং ইলিশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যবিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে ইলিশ। চাঁদপুর, হাইমচরের সাধারণ মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ এখন নাগালের বাইরে।

আজ যে ইলিশ সংকট চলছে, তা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। জেলেদের আগ্রাসী ভূমিকাই মূলত আজকের ইলিশ সংকট। জাটকা এবং মা ইলিশ রক্ষার কর্মসূচিতে জেলেদের অসহযোগিতামূলক আচরণই আজকের ইলিশ সংকটের অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ইলিশ উৎপাদনে সংকট তৈরি করছে। ইলিশকে রক্ষা করতে এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। ইলিশ শুধু আমাদের মাছ এবং আমিষের চাহিদাই পূরেণ করে না, ইলিশ রপ্তানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করি। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ। ইলিশের আকাল দূর করে জেলেদের মুখে হাসি ফুটানোও সম্ভব কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। তবে সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে কঠিন কঠোর হতে হবে এবং তার সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। জেলেদের সচেতন করতে হবে যেন তারা কারেন্ট জাল ব্যবহার না করে, অন্যদিকে কারেন্ট জাল উৎপাদর বন্ধে আরও কঠোর এবং কঠিন হতে হবে রাষ্ট্রের কর্র্তৃপক্ষকে।

 

কারেন্ট জাল শুধু মাছেরই শত্রু নয় এই জাল পরিবেশের জন্যও হুমকি। চাঁদপুরের মেঘনাতে অসংখ্য ডুবোচর এবং বেশ কিছু চর জেগে উঠেছে। এই চরগুলো নদীর নাব্য ও স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে। এতে ইলিশের স্বাভবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। ইলিশের বিচরণে নদীর যে নাব্য ও গভীরতা প্রয়োজন চরগুলো সেই নাব্য ও গভীরতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। ডুবোচর এবং নতুন জেগে ওঠা চরগুলো যদি খনন করা হয় তবে নদীর নাব্য রক্ষা ও বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুরে ইলিশের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি নদীর দুই তীরের নিরাপত্তাও মজবুত হবে। নদীদূষণ, কারেন্ট জাল উৎপাদন ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, জাটকা রক্ষায় কঠোর হওয়া এবং প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা সর্বোচ্চ বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতাদের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রশাসনের কঠোরতাই বৃদ্ধি করতে পারে ইলিশের উৎপাদন।

 

জাটকা এবং মা ইলিশ রক্ষার মৌসুমে যদি আমরা জাটকা ও মা ইলিশকে রক্ষা করতে না পারি, তবে আগামী দিনে ইলিশ সোনার হরিণ হয়ে উঠবে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও পড়বে। আমরা আশা করি, সরকার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য মাছের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে জেলেদের মুখে হাসি ফুটবে। আমাদের মাছের চাহিদা পূর্ণ করে বিদেশেও মাছ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) আয় করা সম্ভব হবে। যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। স্বচ্ছতা, সচেতনতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। অন্যথায় এই সংকট আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। জেলেদের হাহাকার বাড়বে, তাদের জীবনযাত্রার মান নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছবে এবং আমরা ইলিশের বহুমাত্রিক উপকারিতা এবং এই মাছের স্বাদ থেকে নিশ্চিতভাবেই বঞ্চিত হব। এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক, নিশ্চয়ই কেউ তা চাইবেন না।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

রুপালি ইলিশ কেন সোনার হরিণ

আপডেট টাইম : ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক :
২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ইলিশের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ২০০২ সালে ইলিশ রক্ষার জন্য মা ইলিশ ও জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। স্বাদ, গন্ধে এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ চাঁদপুরের ইলিশ। ইলিশের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ফলে ইলিশের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেশ ভালো কাজ করে। এ ছাড়া চর্বিসংক্রান্ত সব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। ইলিশে থাকা ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এল-আরজিনিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মাংসপেশি ও টিস্যু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মাছে যে প্রোটিন থাকে, তা কোলাজেন সমৃদ্ধ। কোলাজেন হচ্ছে অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা কোষের যোগাযোগক্ষমতা বাড়িয়ে কোষের সার্বিক কার্যকারিতা বাড়ায়।

 

বিশ্বজোড়া রয়েছে চাঁদপুরের ইলিশের সুখ্যাতি। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। চাঁদপুরের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলিশ। কিন্তু ভরা মৌসুমেও সেই চাঁদপুরেই চলছে ইলিশের আকাল। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নদী এবং ইলিশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যবিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে ইলিশ। চাঁদপুর, হাইমচরের সাধারণ মানুষের কাছে ইলিশের স্বাদ এখন নাগালের বাইরে।

আজ যে ইলিশ সংকট চলছে, তা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। জেলেদের আগ্রাসী ভূমিকাই মূলত আজকের ইলিশ সংকট। জাটকা এবং মা ইলিশ রক্ষার কর্মসূচিতে জেলেদের অসহযোগিতামূলক আচরণই আজকের ইলিশ সংকটের অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ইলিশ উৎপাদনে সংকট তৈরি করছে। ইলিশকে রক্ষা করতে এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। ইলিশ শুধু আমাদের মাছ এবং আমিষের চাহিদাই পূরেণ করে না, ইলিশ রপ্তানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করি। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ। ইলিশের আকাল দূর করে জেলেদের মুখে হাসি ফুটানোও সম্ভব কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। তবে সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে কঠিন কঠোর হতে হবে এবং তার সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। জেলেদের সচেতন করতে হবে যেন তারা কারেন্ট জাল ব্যবহার না করে, অন্যদিকে কারেন্ট জাল উৎপাদর বন্ধে আরও কঠোর এবং কঠিন হতে হবে রাষ্ট্রের কর্র্তৃপক্ষকে।

 

কারেন্ট জাল শুধু মাছেরই শত্রু নয় এই জাল পরিবেশের জন্যও হুমকি। চাঁদপুরের মেঘনাতে অসংখ্য ডুবোচর এবং বেশ কিছু চর জেগে উঠেছে। এই চরগুলো নদীর নাব্য ও স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে। এতে ইলিশের স্বাভবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। ইলিশের বিচরণে নদীর যে নাব্য ও গভীরতা প্রয়োজন চরগুলো সেই নাব্য ও গভীরতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। ডুবোচর এবং নতুন জেগে ওঠা চরগুলো যদি খনন করা হয় তবে নদীর নাব্য রক্ষা ও বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুরে ইলিশের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি নদীর দুই তীরের নিরাপত্তাও মজবুত হবে। নদীদূষণ, কারেন্ট জাল উৎপাদন ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, জাটকা রক্ষায় কঠোর হওয়া এবং প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা সর্বোচ্চ বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতাদের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রশাসনের কঠোরতাই বৃদ্ধি করতে পারে ইলিশের উৎপাদন।

 

জাটকা এবং মা ইলিশ রক্ষার মৌসুমে যদি আমরা জাটকা ও মা ইলিশকে রক্ষা করতে না পারি, তবে আগামী দিনে ইলিশ সোনার হরিণ হয়ে উঠবে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও পড়বে। আমরা আশা করি, সরকার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির অন্যান্য মাছের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে জেলেদের মুখে হাসি ফুটবে। আমাদের মাছের চাহিদা পূর্ণ করে বিদেশেও মাছ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) আয় করা সম্ভব হবে। যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। স্বচ্ছতা, সচেতনতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। অন্যথায় এই সংকট আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। জেলেদের হাহাকার বাড়বে, তাদের জীবনযাত্রার মান নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছবে এবং আমরা ইলিশের বহুমাত্রিক উপকারিতা এবং এই মাছের স্বাদ থেকে নিশ্চিতভাবেই বঞ্চিত হব। এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক, নিশ্চয়ই কেউ তা চাইবেন না।


প্রিন্ট