বদলে যাচ্ছে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের নাম। একাডেমিক কাউন্সিল সভায় প্রধানমন্ত্রীর নামে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিবর্তিত নামকরণ প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল- কুষ্টিয়া’ নাম চূড়ান্ত হবে।
গত ৩১ জুলাই মেডিক্যাল কলেজের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল সভায় কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের পরিবর্তিত নামকরণ প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা হয়।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজটি ২০২২ সালে ৬তলা একাডেমিক ভবন ও দুটি ছাত্রছাত্রী হল নির্মাণ সম্পন্ন হলে হাসপাতাল ছাড়াই অস্থায়ী ভবন থেকে প্রতিষ্ঠানটি মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্পটির ভিত্তি স্থাপন করেন।
প্রকল্পটির তদারকি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, আর্থিক সংকট, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিসহ নানা জটিলতার কারণে ১০তলা ভিতের ৫০০ শয্যার ৭তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণকাজ বারবার পিছিয়েছে। তবে ইতোমধ্যে ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চতুর্থ দফায় বর্ধিত সময়সীমা ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগেই বাকি কাজ সম্পন্ন করে হাসপাতাল ভবনটি হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করছি। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই হাসপাতালের আউটডোর চালু করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
এদিকে চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে জেলাবাসীর স্বপ্নের কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি চালু হবে বলে প্রকল্প পরিচালক ডাক্তার সারওয়ার জাহান জানিয়েছেন। তিনি জানান, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিবর্তিত নামকরণ ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল’ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পাস করা হয়েছে।
প্রিন্ট