গোপালগঞ্জের শিবলী আহমেদ নামের এক জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ জেলার সংশ্লিষ্ট কোন দপ্তরই এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্ৰাহন করছেন না। ঘটনাটি ঘটছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের হাজী খোরশেদ সপ্তপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিবলী আহমেদ এই বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) ও ডুমদিয়া গ্ৰামের শেরআলী সরদারের ছেলে।
বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া মসজিদে ইমামতি করেছেন।
জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়ে শিক্ষকতা করার ঘটনা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিদ্যালয় এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষানুরাগীরা হতাশ হয়েছেন।
জানাগেছে জাল সনদধারী শিক্ষক শিবলী আহমেদ গত ২০১২ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি)’র সনদ জালিয়াতি করে বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ, তৎকালীন সভাপতি হাজী আশরাফুজ্জামান মুন্সী ও নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নিয়োগ নেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ওই জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করার পর মন্ত্রণালয়ের এক অডিটে জাল সনদ ধরা পড়ে। পরবর্তিতে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৭.০০.০০০০.০৮৭.০৯৯.০০৩.২১-১০২ নং স্মারক নির্দেশনা মূলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)’র ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.২২৭.২০২৩-
- আরও পড়ুনঃ দেশের প্রথম আইকনিক রেল স্টেশন দৃশ্যমান
এবিষয়ে জাল সনদধারী শিক্ষক শিবলী আহমেদের মন্তব্য জানাতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
স্কুল কমিটির বর্তমান সভাপতি হাজী কবির হোসেন বলেন, আমরা ওই শিক্ষকে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ ফৌজদারি মামলা করার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, শিক্ষক টাকা ফেরত দিলেইতো সমস্যা সমাধান।
প্রিন্ট