বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৬৫০টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ) এবং অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তিসহ এক হাজার ২৯০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চলতি বছরের অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় এ তথ্য জানান বারি’র বিজ্ঞানীরা।রবিবার (৩০ জুলাই) ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে যে সকল গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী ২০২৩-২০২৪ সালে গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নার্সভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিএডিসি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বারি’র বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এবং জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব বলেন, প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোরপোষের কৃষি এখন বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া, বর্ধিত জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান আবাদী জমির পরেও বাংলাদেশের কৃষির সাফল্য ঈর্ষনীয়। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তে দেশ আজ খাদ্যে স্বনির্ভর।