নড়াইলে যুবলীগ নেতা আজাদ শেখ হত্যা ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্য়ালয়ে কািলয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে প্রতিবাদ মিছিল ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
কয়েক হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলে নারীরাও যোগ দেন। প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়া উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক মো.রবিউল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য মো.কবিরুল হক মুক্তি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য মো.এমদাদুল হক, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো.হারুনার রশিদ, কালিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খাঁন মোঃ শামীমুর রহমান (ওসিখাঁ), কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন, পুরুুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর ইসলাম মনি, কৃষকলীগ নেতা লুৎফর রহমান, বাঐসোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ফোরকান আলী, নিহতের ভাই সাজ্জাদ শেখ প্রমুখ। বক্তব্যে বক্তারা ও এলাকাবাসী প্রতিবাদ মিছিলে দাবী করেন যুবলীগ নেতা আজাদ শেখ হত্যা মামলাটি দ্রুত ট্রাইব্যুনালে নিয়ে বিচার করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি কবিরুল হক বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা খুব কষ্টের। সেই কস্টটা আমি বুঝি। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে বিএনপি-সরকারের প্রেতাত্মারা যখন আমার বাবা, বড় ভাইকে খুন করেছিল। তখন আমি হয়েছিলাম এতিম। তিনি বলেন,আজাদ কি করেছিল? কার ক্ষতি করেছে? কেন তাকে খুন করা হলো?
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আ্ইনের আওতায় এনে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তিনি ফাসির দাবি করেন। যেদিন ফাসির রায় কার্যকর হবে সেদিন তার স্বজনদেরও হত্যার স্বাধ নিতে হতে পারে।
তিনি বলেন, অভিভাবক হারা আজাদের পরিবারের সকল দায়িত্ব আমি গ্রহণ করলাম। আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি আমৃত্য আমি এই দায়ভার গ্রহণ করছি।
প্রিন্ট