কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো নয়। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১২দিনে উপজেলায় মোট ৭জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ভেড়ামারায় এসেছেন ৩ জন রোগী।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর প:প: কর্মকর্তা ডা: নূরুল আমীন জানান, বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়। কিন্তু এ বছর আগেভাগেই জুন মাস থেকে ভেড়ামারায় ডেঙ্গুর রোগী শনাক্ত হয়। কারণে জানা গেছে,ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী আসে ঢাকা থেকে। এখন স্থানীয় ভাবেই কিছু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, যাদের ঢাকায় যাবার কোনো রেকর্ড নেই। এ পযন্ত মোট ৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ,আছিব আলী (২৫), ঢাকা থেকে এসেছেন জাহাঙ্গীর (৩০),আলী আজম (৪৫), আব্দুর জলিল (৫৮),হেলাল (৪৮) মমিনুল (৪৯) জলি (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আইসিইউ সাপোর্ট ভেড়ামারাতে নেই। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে রোগীর সংখ্যা বেশি। এডিস মশা নিধনে সবাইকে সচেতন হতে হবে। না হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদেও ১টি ওয়ার্ডে মশারির ভেতরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মশা নিধনে পৌরসভার পক্ষ থেকে ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রামাঞ্চলে ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। পৌরসভা ও ইউনিয়নে মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। সেই সাথে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডা: সাজেদুর রহমান সাজু জানান, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ফুলের টবে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। এতে এডিস মশার জন্ম হতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত পরীক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
প্রিন্ট